পুবের কলম প্রতিবেদক, কালিয়াচক: মাদ্রাসার পর মাধ্যমিকে ও জয়জয়কার মালদার। রাজ্য মেধা তালিকায় এ জেলার ৫ জন জায়গা করে নিয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে ৬৮৪ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে সম্ভাব্য দশম স্থান অধিকার করেছে ৩ জন। তারা শুভ্রজিৎ বিশ্বাস, মহম্মদ ফায়াজ মাসুদ ও আফ্রিন খাতুন । কালিয়াচকের দুই বাসিন্দা ছাত্রছাত্রী মেধা তালিকায় দশম স্থান করে নজর কাড়ল মাধ্যমিকে। তারা কালিয়াচকের শুধু নয় মালদা জেলার নাম উজ্জ্বল করল ।
কৃতী দশম হওয়া ফাইয়াজ মাসুদের বাড়ি কালিয়াচকের জালালপুরের বলরামপাড়ায়। বেদরাবাদ হাইস্কুলের ছাত্র সে। বাবা মহিবার রহমান হাই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মা আসলেমা খাতুন প্রাথমিক শিক্ষিকা। অঙ্ক তার প্রিয়। ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। বাংলা ৯৭, ইংরেজী ৯৬, অংক ১০০, পদার্থ বিজ্ঞান ৯৯, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ৯৬, ভূগোল ৯৭। তার এই সাফল্যে খুশি মা বাবা।
মা, বাবার কথায়, ছেলে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। একমাত্র শিক্ষাই পারে জীবনের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে। তাই শিক্ষার উপর পরিবার সবচেয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছি । এই ফলাফলে খুশি ও অবশ্যই গৌরব বৃদ্ধি করল ছেলে।
অপর দশম স্থান অধিকারী আফ্রিন খাতুনের বাড়ি কালিয়াচকের নওয়াদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগলপুর গ্রামে। সে সিউড়ির কবি নজরুল শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী। বাবা মনিরুজ্জামান ওষুধের ব্যবসায়ী। মা অঞ্জুমানারা বেগম গৃহবধূ। টিভিতে নাম ঘোষণার পর খুশিতে উজ্জীবিত গোটা পরিবার। এই ফলাফলে সুনাম বৃদ্ধি করল।
প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। বাংলা ৯৭, ইংরেজী ৯৬, অংক ১০০, পদার্থ বিজ্ঞান ৯৯, জীবন বিজ্ঞান ১০০, ইতিহাস ৯৭, ভূগোল ৯৫। বিজ্ঞান তার প্রিয় । সে ভবিষ্যতে নিউরো চিকিৎসক হতে চায়। তার হবি ছবি আঁকা। গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে।
ছাত্রী আফ্রিন জানায়, এই ফলাফলে বাবা মা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবার সহযোগিতা রয়েছে। আমি জানি যেমন পরিশ্রম করব ফলাফল মিলবে। তাই নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করেছি। আর আমার বাবা মা সর্বদা পাশে ও নিরলস অনুপ্রাণিত করেছে।
বাবা মনিরুজ্জামানের কথায়, দুই ছেলে মেয়ে। আমার এক ছেলে ক্লাস সেভেনে পড়ে । একমাত্র মেয়ে রাজ্যে মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করায় আপ্লুত। শিক্ষায় পারে পরিবার সমাজ দেশে পরিবর্তন আনতে। আজ এই ফলাফলের ফলে আরও দায়িত্ব বাড়ল মেয়ের। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে।
আমার কাছে ছেলে মেয়ে সমান। তাই মেয়ের এই ফলাফলে পাড়া প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন ও বাড়িতে সংবর্ধিত করছেন।