জিশান আলি মিঞা, ডোমকল : শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। ফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় প্রথম দশে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার চার কৃতি। তারমধ্যে তিন জনই বহরমপুরের গোরাবাজার আইসিআই স্কুলের তিন ছাত্র। পঞ্চম, অষ্টম ও নবম স্থান করেছে আইসিআই স্কুলের তিন ছাত্র। অন্যদিকে ডোমকল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী মেমোরি মিম জাহান ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে।
৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান করেছে শুভ্র দত্ত। বহরমপুরের স্বর্ণময়ীর বাসিন্দা শুভ্রের ইচ্ছে আগামী দিনে চিকিৎসক হওয়া।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে মারা গিয়েছেন শুভ্রের বাবা। ফলে চিকিৎসক হওয়ার জেদ তাকে চেপে বসেছে। মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পর খুশি পরিবারের লোকেরাও। শুভ্রের মা মৌমিতা দত্ত বলেন, ছেলে আশানুরুপ ফল করেছে। ওর বাবা থাকলে বেশি খুশি হত। তবে বাবার চিকিৎসক হওয়ার স্বপন পূরণে বদ্ধপরিকর শুভ্র। দিনে সাত-আট ঘন্টা পড়াশোনার পাশাপাশি শুভ্রর নেশা গিটার বাজানো।
অন্যদিকে একই স্কুলের ছাত্র ফারহান বিশ্বাস ৬৮৬ নম্বর মেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। আদতে নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা হলেও দুই ছেলের লেখাপড়ার কারনেই ফারহানের আব্বা,মা হাফিজুর রহমান বিশ্বাস, ফতেমা বেগম থাকেন বহরমপুরের তালবাগানপাড়া এলাকায়। ফারহানের বড় ভাই ডাক্তারি পড়ুয়া। ফারহানও চায় ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে। ইতিমধ্যে কলকাতায় ভর্তিও হয়েছে সে। তিনজন গৃহশিক্ষক থাকার পাশাপাশি দিনে সাত -আট ঘন্টা পড়াশোনা করত সে। তাছাড়া ইউটিউবে ভিডিও বানানো তার নেশা। ফারহান, জানায় ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে। ছেলের সাফল্যে খুশি হাফিজুর রহমান, ফতেমা বেগম দম্পতি।
একই স্কুলের পড়ুয়া স্নেহাশিস চ্যাটার্জি ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছে। তার বাবা দেবাশীষ চ্যাটার্জি ও মা মৌসুমি চ্যাটার্জি উভয়েই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তবে ভবিষ্যতে গনিত নিয়ে পড়াশোনা করতে চান স্নেহাশিস। ছেলের সাফল্যে খুশি চিকিৎসক দম্পতি।
তবে এবছর রাজ্যের মেধা তালিকায় আইসিআই স্কুলের তিন জন ছাত্র স্থান দখল করায় গর্বিত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্ত বলেন, করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকলেও নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের গাইড করা হয়েছে। তার ফলও মিলেছে। তাছাড়া এই ব্যাচটি প্রথম থেকেই ভালো বলে ধারণা ছিল স্কুলের শিক্ষকদের।