পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে ৬৭৩ (৯৬.১৪)% নাম্বার পায় হটুগঞ্জ আল আমিন মিল্লি মিশনের ছাত্র আহমাদুল্লা। মিশনের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার সাহেবের সহযোগিতায় আজ ভালো রেজাল্ট করেছে সে। পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে আনন্দের মধ্যেও মুখে দারিদ্রতার ছাপ ফুটে উঠেছে আহমাদুল্লা বৈদ্যের মুখে।
রেজাল্ট দেখে স্কুলের প্রধান আব্দুল গাফফার সাহেব ও খুশি ভালো নাম্বার পেয়ে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করায় আহমাদুল্লা সহ সকল সফল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মিষ্টি মুখ করান। আহমাদুল্লা পরীক্ষার ফলাও দেখে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা খুশি তার সহপাঠীরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার সাহেব জানান, এবছর মোট ৪০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল আল আমিন মিল্লি মিশন থেকে। ৬৭৩ (৯৬.১৪)% নাম্বার পায় আহমাদুল্লা বৈদ্য। ১০ জন ছাত্র ৯০ শতাংশ নাম্বার পাশ করেছে। আহমাদুল্লার বাবা অর্থনৈতিক দিক থেকে খুব পিছিয়ে। সেজন্য তাকে হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করার সহযোগিতা করা হতো স্কুলের পক্ষ থেকে। আহমাদুল্লা রেজাল্টে খুশি স্কুলের সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওহাব সাহেব থেকে স্কুলের শিক্ষকরা তার আগামীদিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করেন।
ডাক্তার হয়ে সমাজ সেবক হতে চায় আহমাদুল্লা বৈদ্য। মগরাহাট বাঁকিপুর এলাকায় বাড়ি। তার আব্বা পেশায় খারিজি মাদ্রাসার শিক্ষক। আহমাদুল্লা বৈদ্যের কথায়, ছোট থেকে দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে আসছি। বাবার সামান্য আয়, তবুও চেষ্টা করে আমাদের পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করে চলেছেন। আজ আব্বার স্বপ্ন খানিক স্বার্থক হল। অর্থের অভাবে আল আমিন মিল্লি মিশনের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আব্বা এই স্কুলে ভর্তি করান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার সাহেব সমস্ত দিক থেকে করতেন। আজ আমার ভালো রেজাল্ট করার পিছনে প্রধান শিক্ষকের অবদান অতুলনীয়।