পুবের কলম প্রতিবেদক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিতে এবার অনলাইনে ছাত্রভর্তির দিকে এগোচ্ছে শিক্ষা দফতর। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার অনলাইনে ছাত্রভর্তির বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় উপস্থিত সিংহভাগ উপাচার্য অনলাইনে ছাত্রভর্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এ দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে সম্মতি জানিয়েছেন। অনলাইনে ছাত্রভর্তি প্রসঙ্গে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির ফলে বাড়িতে বসেই কোনও পড়ুয়া কলেজে আবেদন করতে পারবেন। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কলেজে যেতে হবে না। এতে কলেজ পছন্দের বিষয়টিও সুষ্পষ্ট থাকবে। এ বছরই কেন্দ্রীয়ভাবে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য চালু হয়ে যাচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়া। এজন্য তৈরি করা হবে একটি পোর্টাল। সেই পোর্টাল মারফতই পড়ুয়ারা পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করবেন।
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি মিলেছে। এ বছর থেকেই তা চালু করে দিতে চায় সরকার। উপস্থিত উপাচার্যরাও রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন। ব্রাত্য বলেন, ‘স্বচ্ছতার স্বার্থেই অনলাইন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।’
এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতি চালু করেছিল। এবার রাজ্যজুড়ে একই প্রক্রিয়ায় স্নাতক স্তরে ভর্তি হবে। এর ফলে কোনও পড়ুয়াকে কলেজে এসে ফর্ম নিতে বা জমা দিতে হবে না, থাকবে না স্বজনপোষণের সুযোগ।
এ দিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্যবাবু জানান, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য একটিই পোর্টাল হচ্ছে। সেই পোর্টাল নিয়ন্ত্রণ করবে উচ্চশিক্ষা সংসদ। একজন ছাত্র যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যে কোনও কলেজে আবেদন করতে পারেন। মেধার ভিত্তিতে তাঁর নির্বাচন হবে। একজন ছাত্র একাধিক আবেদনও করতে পারেন। ব্রাত্যবাবু জানিয়েছেন,কলেজে ছাত্রভর্তিতে স্থানীয়দের সংরক্ষণের ব্যবস্থাও থাকছে পোর্টালে। কোন কলেজে কোন বিষয়ে কত কাট অফ মার্ক ও কতগুলি আসন খালি রয়েছে, তাও দেখা যাবে পোর্টালে।
গত ২ বছর করোনার জেরে সেই ডামাডোল কিছুটা বন্ধ থাকলেও এবার ফের সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে তার আগেই সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এর আগেও একাধিকবার কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।