ইনামুল হক, বারাসত: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের ফাজিল পরীক্ষার দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সাবির আলী মোল্লা ও তৃতীয় স্থান অধিকারী রিজওয়ান আহাসানকে সংবর্ধনা দিল সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। এরই সাথে সাথে আলিমে রাজ্যের অষ্টম স্থান অধিকারী আমিনপুর সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী রুকাইয়া সুলতানাকেও সংবর্ধনা দিল সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের এবছরের এই তিন কৃতিই তরিকুল হায়াত গাইড সেন্টারের শিক্ষার্থী। সোন্দালিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন আমিনপুরের এই গাইড সেন্টার থেকে বিগত বছরগুলিতে কোনও না কোনও শিক্ষার্থী মাদ্রাসা বোর্ডে রাঙ্ক করেছে।
বুধবার সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এর নির্দেশে এই প্রতিনিধি দলে সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সহ সম্পাদক নাজমুল আরেফীন ও জসীমউদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ বাবর হোসেন, রাজ্য কমিটির সদস্য তথা তরিকুল হায়াত গাইড সেন্টার-এর শিক্ষক হাসানুজ্জামান, সংগঠনের বারাসত ২ ব্লকের সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, মাওলানা বাহাউদ্দিন প্রমুখরা ছিলেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, এই কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু তাদের বাবা মায়ের গর্ব নয়। তারা এরাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের গর্ব। তিনি জানান, আলিমে অষ্টম স্থান অধিকারী রুকাইয়া সুলতানা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের।। বাবা-মা ভাই-বোন সহ ৬ জনের পরিবারে একটি মাত্র ভাঙাচোরা টালির ঘরে পড়াশোনা করে তার এই সাফল্য। রুকাইয়ার পরিবারের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সহ সম্পাদক নাজমুল আরেফীন বলেন, একশ্রেণীর মানুষের মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি না জানার কারণে ঘৃণা বা ভুল ধারণা আছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মুসলিমদের সাথে সাথে অনেক অমুসলিম ছেলেমেয়েও মাদ্রাসা শিক্ষায় পড়াশুনা করে নিজেদের মেধার বিকাশ ঘটাচ্ছে তা আমরা ফল প্রকাশে জানতে পারছি।
আজকের দিনে আইএএস, আইপিএস বা ডব্লিউবিসিএসও হচ্ছে। তাই সে দিকে লক্ষ্য রেখে মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটানোর জন্য সরকারকে আরও সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাই। তরিকুল হায়াত গাইড সেন্টারের পক্ষে শিক্ষক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে সংখ্যালঘুসহ সব সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়াদের পাশে থেকে আমরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করছি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলের প্রকাশ ঘটেছে মাদ্রাসার পর্ষদের পরীক্ষায়।