পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অভিষেকেই বাজিমাত করল গুজরাত টাইটান্স।রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএলের ১৫তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্স।
আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়াম অধুনা নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। দাবি করা হয় এটাই নাকি বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যার অবস্থান গুজরাতে। ঘটনাক্রমে, এই রাজ্যেরই নতুন ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্স ফাইনালে। স্বাভাবিকভাবেই এই মাঠের অধিকাংশ সমর্থক গুজরাতের।
জয়ের জন্য মাত্র ১৩১ রানের লক্ষ্য। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ওবেদ ম্যাককয়কে ছক্কা মেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সিলমোহর দিলেন শুভমান গিল। ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে রাজস্থানকে হারিয়ে অভিষেক আসরেই আইপিএল চ্যাম্পিয়নের মুকুট হার্দিকের গুজরাত টাইটান্সের।
রবিবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এ বারের আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্স ও সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস । চলতি আইপিএলের সব থেকে বড় চমক ছিল দুই নতুন দল। দুটো দলই এ বারের প্লে অফে উঠেছিল। তবে অল্পের জন্য ফাইনালের টিকিট পায়নি লখনউ সুপার জায়ান্টস।
কিন্তু আইপিএল অভিষেকেই দুরন্ত চমক দিয়েছে গুজরাত। দ্বিতীয় বার ট্রফির স্বাদ পেল না রাজস্থান। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ জিতে নিয়ে আইপিএল অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ল গুজরাত টাইটান্স। নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল আইপিএল।
যদিও মাত্র ৯ রানে ঋদ্ধিমান সাহা এবং ২৩ রানের মাথায় ম্যাথ্যু ওয়েডের উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল গুজরাত কিন্তু রাজস্থানের বোলারদের আনন্দকে ক্ষণস্থায়ী করে দিতে সময় নিলেন না শুভমান গিল আর হার্দিক পান্ডিয়া।
এ দু’জন মিলে দেখেশুনে ব্যাট করেন এবং গড়ে তোলেন ৬৩ রানের জুটি। এই জুটিটিই মূলতঃ গুজরাতের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়। ৩০ বলে ৩৪ রান করেন হার্দিক। তার মত মারকুটে ব্যাটার এতটা রয়েসয়ে ব্যাটিং করবে, এটা যেন ছিল স্বপ্নের মত। কিন্তু দলের প্রয়োজনে দেখেশুনে খেলাটাই ছিল তখন সবচেয়ে বেশি দরকার। সেই কাজটাই করে গেলেন হার্দিক।
৩৪ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কার সাজানো ছিল পান্ডিয়ার ইনিংস । বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে করলেন ৩৪ রান। পারফেক্ট অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এবং ক্যাপ্টেন্স নক বলা যায় একে।
দলীয় ৮৬ রানে পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর শুভমান গিলের সঙ্গে জুটি বাধেন ডেভিড মিলার। তিনি কিছুটা ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মারেন তিনি। ১৯ বলে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। শুভমান গিল অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৪৫ রানে। তিনিও তিনটি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন একটি ছক্কা।