পুবের কলম প্রতিবেদক, বারাসত: গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে কৃষির যেমন যোগ রয়েছে তেমনি কৃষি অনুসারী ক্ষুদ্র ব্যবসা বা শিল্প গুলির ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর এর অগ্রগতিতে ঋণ প্রদানের বিষয়ে আমাদের দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবা নিয়ে যে অভাব-অভিযোগের কথা শোনা যায় তা অনেকখানিই পূরণ করে থাকে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি। কেবল সদর্থক ভূমিকা নিয়ে গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কাজের মধ্যেই তা অব্যাহত রেখেছে। সোমবার বারাসতে নর্থ ২৪ পরগনা কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (এআরডিবি)র অর্ধ বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনিভাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ড. নিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সমবায় ভাবনা থেকে বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, একমাত্র সমবায় পদ্ধতির মাধ্যমে এদেশের কৃষক সমাজকে দারিদ্রের দু:সহ যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করা সম্ভব। রবীন্দ্রনাথ গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে তাইতো সমবায় পদ্ধতিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এদিন নর্থ ২৪ পরগনা কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড এর চেয়ারম্যান নিমাই মিত্র ওপেন সেশনে ব্যাংকের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন দিক ও খসড়া প্রস্তাবগুলি তুলে ধরেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সমবায় ইউনিয়নের সম্পাদক আলি আহমেদ তার বক্তব্যে, সমবায় ব্যাংক গুলির পরিচালন সমিতির নির্বাচনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিনয় বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি কৃষ্ণ গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় ,ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ হাবিবুর রহমান, সিইও মহম্মদ হাকিমুদ্দিন, সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ চ্যাটার্জি, জেলা সভাপতি অমল কুমার মুখোপাধ্যায়, শিক্ষক ও সাংবাদিক ইনামুল হক প্রমুখ।এদিন সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রতিনিধিরা অর্ধ-বার্ষিকী সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।