নাজির হোসেন লস্কর, মগরাহাট: রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চতুর্থ পর্বের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজ৷ জনগণের দোরগোড়ায় রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট স্কিমগুলি পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্যে এই দুয়ারে সরকার৷ পাশাপাশি স্থানীয় হস্তশিল্প ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন কাজকর্ম তুলে ধরা হচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে৷
শনিবার মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের আমড়াতলা গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজিত এক ক্যাম্পে তুলে ধরা হয় প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ফুলের সামগ্রী৷ এই ফুলের সামগ্রী তৈরি করতে আমড়াতলার মধ্যবিত্ত–নিম্নবিত্ত মানুষ মূলত তালপাতা, ভুট্টার ছাল, বাজরার মঞ্জুরি, শোলা ছাড়াও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে থাকেন৷ এখানকার কারুকার্য পৌঁছে যায় বিশ্ব দরবারেও৷ এলাকার প্রায় ২ হাজারেরও বেশি পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল।
জানা যায়, এই ধরনের পণ্য বিপনণের ক্ষেত্রে সমস্যায় রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ ঠিক এমন সময় সরকার তাঁদের দিশা দেখায়৷
উপস্থিত ডায়মন্ড হারবারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অজয় সেনগুপ্ত জানান, ডায়মন্ড হায়মন্ড একটা বড় পর্যটন ক্ষেত্র৷ সেখানে এই ধরনের সামগ্রী বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেজন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে এই ধরনের হস্তশিল্পের জন্য স্টল খুলে দেওয়া৷
অন্যদিকে, জেলা এবং রাজ্যের নজরে নিয়ে আসবেন এবং রাজ্য তখন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ফুলের সামগ্রী বিক্রির জন্য পরিকল্পনা নেবে বলে জানিয়েছেন বিডিও সেখ আবদুল্লাহ৷
বিধায়ক নমিতা সাহা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তশিল্পের প্রসারে সবসময়ের তৎপর৷ এসব কাজে যুক্ত মানুষের ব্যবসায়িক সব ধরনের সাহায্য করা হবে৷
এছাড়াও এই পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রঙিন মাছ চাষ করে তিন হাজারের বেশি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। হস্তশিল্পে নির্মিত ফুল এবং রঙিন মাছের বাজারে প্রচুর চাহিদা আছে। অর্থাভাবে এই কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী এবং মৎস চাষিরা যাতে উৎসাহ হারিয়ে না ফেলেন তার জন্য সরকার
আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড এবং মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করেছে৷ ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটাতে এদিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে৷