কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় আদিবাসীদের একাংশের কয়লা বিরোধী আন্দোলনে বিচলিত না হয়ে সরকারকে নিজের জমি দিতে রীতিমতো উৎসাহ জমির মালিকদের। ইতিমধ্যেই জমি রেজিস্ট্রি শুরু হয়ে গিয়েছে পাচ্ছেন জমির দাম। এদিকে কয়লা বিরোধী আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকার মানুষজন।
ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রথম পর্যায়ে দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙ্গা ব্লকে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ডেউচা পাচামি ব্লকে কয়লা উত্তোলন হবে। সংশ্লিষ্ট দুটি ব্লক এলাকার ১০ টি মৌজার প্রায় ২৫০০ জন মানুষজন তাদের জমির বিনিময়ে চাকরির আবেদন করেছেন।
বর্তমানে সংশ্লিষ্ট এলাকার আদিবাসীদের একাংশ কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলন করছে। যদিও এই মুহূর্তে সেই আন্দোলনের তেজ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। কারণ প্রকল্প এলাকার সিংহভাগ মানুষ জন প্রকল্পে সম্মতি জানিয়ে দিয়েছে সরকারকে।
তাই আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের। এদিকে প্রথম পর্যায়ের দেওয়ানগঞ্জ হরিণ সিঙ্গা ব্লকের জমির মালিকরা সরকারের কাছে জমি তুলে দিতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন এর কাছাকাছি জমির মালিক বীরভূম জেলা পরিষদকে তাদের জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে মূল্যের বিনিময়ে এছাড়াও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ১০০ জন এর কাছাকাছি মানুষজন জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই মর্মে তাদের প্রয়োজনীয় নথি ঠিক করার কাজ চলছে বর্তমানে।
বীরভূম জেলা পরিষদ সেইজমিক পরবর্তী সময়ে পিডিসিএলকে তুলে দেবে কয়লা খনি করার জন্য।
এছাড়াও প্রথম পর্যায়ে যেখানে কয়লা খনি হবে সেই দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙ্গা ব্লকের জমির মালিকদের মনোনীত চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে দ্রুত গতিতে। দেওয়ান গঞ্জের বাসিন্দা অনার্স গ্রাজুয়েট তরুণী কনক লতা টুডুর পরিবার তাদের জমি সরকারকে রেজিস্টি করে দিয়েছে বিনিময়ে চেক ও পেয়ে গিয়েছেন। তার কথায়, ” সরকার কে আমরা স্বেচ্ছায় শিল্প করার জন্য জমি দিচ্ছি শিল্প অবশ্যই হবে এবং চাকরিও হবে সকলের”।
ডেউচার বাসিন্দা ষষ্ঠীধর সাহা বলেন,” ঠিকঠাক বৃষ্টি না হলে ওই জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ তাই ওখানে শিল্প হলে ক্ষতি তো দূরের কথা সমস্ত মানুষ বিশাল লাভবান হবেন আমরা স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছি তার বিনিময় জমির মূল্য পেয়েছি চাকরি পেতে চলেছি”।
অন্যতম জমির মালিক অভিজিৎ রুজ, তাপস সাহা বলেন,” যারা আন্দোলন করছে তাদের জমি জায়গা ভিটেমাটি কিছুই নেই ওই এলাকায়। শুধু মাত্র পয়সা রোজগারের আশায় তাদের আন্দোলন যেটা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। যেখানে প্রকল্প এলাকার জমির মালিকরা তাদের জমিদার সম্মতি জানিয়েছেন। তাই বিরোধিতা করে আন্দোলন করার কোনও যুক্তি আছে বলে মনে হয় না”।