পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গতকালই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর আজ গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম দফার জেরা শেষে চলছে দ্বিতীয় দফার প্রশ্ন। নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চলছে এই জেরা। অনুব্রত’ জন্য তৈরি হয়েছে ৭ পাতার ৩৬টি প্রশ্ন। গতকালই হাজিরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। আজ নির্ধারিত সময়ে আগে নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছে যান অনুব্রত। একহাতে বুকের একপাশ চেপে ধরেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। তাকে প্রায় ধরে ধরে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ৬ বার হাজিরা এড়িয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সকলকে চমকে দিয়ে নিজেই হাজিরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। বুধবারই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরে চিঠি দিয়ে হাজিরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।
গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম চক্রী ইনামূল হক। ইনামূলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া লিংক ম্যান হিসেবে কারা যোগাযোগ রাখত সেই সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রত’র দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম।
প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলছে জেরা। গরু পাচার কাণ্ডে একাধিক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই সূত্র ধরেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রয়েছেন তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। অনুব্রত’র সমস্ত বয়ান লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য পাঠানো হচ্ছে সিবিআইয়ের সদর দফতরে। জানা গেছে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। আর বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।