পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ টলিউডের অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। রবিবার সকালেই অভিনেত্রীর নিজের বাসগৃহ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আর্থিক দিক থেকে সাগ্নিক, পল্লবীর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন। প্রায়শও সাগ্নিক অভিনেত্রীর থেকে টাকা নিতেন। তাদের দুই জনের নামে একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই সব অ্যাকাউন্টে কমবেশি ১৫ লক্ষ টাকার ডিপোজিট রয়েছে। পল্লবীর থেকে টাকা নিয়ে সাগ্নিক ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন। মৃত অভিনেত্রীর নাম এই ফ্ল্যাটের মালিকাধীনে নেই।
নিউটাউনের এই ফ্ল্যাটটি সাগ্নিক এবং তার বাবার নামে আছে। এমনকি পল্লবীর থেকে টাকা ধার নিয়ে একটা নামী-দামি ব্র্যান্ডের গাড়িও কিনেছেন অভিনেত্রী পল্লবী দে’র বন্ধু সাগ্নিক। তবে পুলিশি জেরায় এই সব বিষয়ে এখনও কিছু স্বীকার করেননি সাগ্নিক। এমনকি অভিনেত্রীর বন্ধুর পরিবার থেকেও পাল্টা কোনও দাবি করা হয়নি।
পল্লবীর মাসির দাবি, আর্থিক টানাপোড়নের জেরেই এই খুন হতে পারে। তবে কয়েক মাস ধরেই পল্লবী আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আর তার জেরে দুই জনের মধ্যে মাঝে মাঝে মারাত্মক ঝামেলা হত। মাসির আরও দাবি, তিনি পল্লবীর বাড়ির পরিচারিকার থেকে জানতে পারেন অনেক কথাই। ওই পরিচারিকা বয়ান অনুযায়ী দাদা-বৌদির (সাগ্নিক- পল্লবী) মধ্যে প্রায় টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা হত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাগ্নিক বিবাহিত ছিলেন। সেই বিয়েতে সাক্ষী ছিলেন পল্লবীও। পরে পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাগ্নিক। একসঙ্গে লিভ-ইনে থাকতে শুরু করেন তারা। আর জানা গেছে, পল্লবীকে মারধরও করতেন সাগ্নিক।
রবিবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে পুলিশ এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেন নি। তবে পল্লবীর মৃত্যুরহস্যের এখনও কূলকিনারা হয়নি। এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন এই প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় টলিপাড়া থেকে পরিবার-পরিজনেরা। ইতিমধ্যেই সাগ্নিককে জেরা করছে পুলিশ।