পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফের দিনের আলোর মত সামনে এল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিতই হলেনা উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল সহ বিধায়কদের একাংশ।তবে শপথ গ্রহণের পর রাজভবনে যান উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন।
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের কথায় নিজেদের দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে আক্ষরিক অর্থেই নাজেহাল। এই ড্যামেজ কন্ট্রোল না হলে কিন্তু ১০ মাস বাদে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এর ফল ভুগতে হবে।
শনিবার আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আস ডাঃ মানিক সাহার নাম। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বলেই পরিচিত এই শীর্ষ বিজেপি নেতা। মানিক রাজ্যসভার সাংসদ এর পাশাপাশি ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতিও ছিলেন।
মানিক সাহা আদি কংগ্রেসী। ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। দলবদলের মাত্র ৬ বছরের মধ্যে এই ভাবে আদি বিজেপিদের মাঠের বাইরে ঠেলে দিয়ে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তাই মানিকের সফরেই দেখা মেলেনি অনেকেরই।
কিন্তু এইভাবে দড়ি টানাটনি চলতে থাকলে যে তা দলীয় ভাবমূর্তির পক্ষে আদৌ সুখকর হবেনা তা বুঝতে পারছেন দিল্লীর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালীন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মনের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের বায়োতে পরিবর্তন ঘটে। বায়ো থেকে বাদ পড়ে উপমুখ্যমন্ত্রী শব্দটি। শুধুমাত্র বিধায়ক লেখা রয়েছে সেখানে। বিপ্লব জামানার অবসানের পর ত্রিপুরার রাজনীতিতে ফের মানিক যুগের শুরু। ওয়াকিবহাল মহলের মতে কেন্দ্রের এই সিন্ধান্তের জেরে বড়সড় ভাঙন নেমে আসতে পারে ত্রিপুরা বিজেপিতে। যার ফসল তুলবে ত্রিপুরায় বিজেপির ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলা তৃণমূল।