আবদুল ওদুদঃ এবছর কলকাতা থেকে হজযাত্রার সম্ভাব্য প্রথম উড়ান আগামী ১৭ জুন। আর এই উড়ান ১৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে। কলকাতা থেকে যে সমস্ত হজযাত্রী পবিত্র হজ সম্পন্ন করতে রওয়ানা হবেন, তাঁরা প্রথমে মক্কায় অবস্থান করবেন। কিন্তু তাঁদের ফেরার বিমান ধরতে হবে মদিনা থেকে। কলকাতা থেকে হজের সম্ভাব্য উড়ান ১৭ জুন শুরু হলেও দেশে হজের সম্ভাব্য প্রথম উড়ান ৩১ মে থেকে। ৩১ মে থেকে বেঙ্গালুরু, কোচিন, দিল্লি, গুয়াহাটি, লখনউ শ্রীনগর থেকে হজের উড়ান ছাড়বে বলে হজ কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রথম স্লটের সমস্ত বিমান চলবে ৩১ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত। এই সমস্ত রাজ্যের হজযাত্রীদের প্রথমে মদিনায় অবস্থান করবেন। হজ সম্পন্ন করে শ্রীনগর, লখনউ, গুয়াহাটি, দিল্লি, কোচি, বেঙ্গালুরুর হাজিরা জেদ্দা থেকে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরবেন। এই সমস্ত রাজ্যের হাজিদের ফিরতি উড়ান শুরু হবে ২৪ জুলাই থেকে। সমস্ত রাজ্যের হাজিদের নিয়ে হজের শেষ উড়ান আসবে ১৩ আগস্ট।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্লটে আহমদাবাদ, হায়দরাবাদ, কলকাতা এবং মুম্বই-এর হজযাত্রীরা হজ সম্পন্ন করতে পবিত্র ভূমি মক্কায় উপস্থিত হবেন। ১৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বিমান চলবে। এই সমস্ত রাজ্যের হাজিদের ফিরতি উড়ান হবে ২৪ জুলাই থেকে।
এই চারটি রাজ্যের হাজিদের শেষ উড়ান ১৩ আগস্ট। অর্থাৎ আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে হজের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন হবে।
রাজ্য থেকে হজযাত্রার কাজকর্ম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি বলে জানিয়েছেন কার্যনির্বাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকি। রাজ্য হজ কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ১০ মে থেকে জেলায় জেলায় হজ প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। ২৬ মে এই প্রশিক্ষণ শেষ হবে। প্রত্যেক জেলা সদরে এই হজ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য হজ কমিটির আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। মুহাম্মদ নকি জানান, হজযাত্রীদের বিমানে ওঠা থেকে হজ সম্পন্ন করে ঘরে ফেরা পর্যন্ত কি কি করনীয় সেই সমস্ত বিষয়গুলি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রত্যেক হজযাত্রী উপকৃত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এবছরের প্রত্যেক হজযাত্রীকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি।