পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তিক কোনও বড় স্টেশন থেকে রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত ছোটে দুটি দ্রুতগতির ট্রেন। একটি, দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজধানী এক্সপ্রেস। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার । আরেকটি তার চেয়েও দ্রুতগতির। ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। সেটি দুরন্ত এক্সপ্রেস। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় বোলিংয়ে এমন একজন বোলার এসেছেন যিনি গতিতে রাজধানী বা দুরন্ত এক্সপ্রেসকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছেন। একটা আধটা বল নয়, তার স্পেলের ছ’টি বলের মধ্যে কখনো কখনো ছটিই, আবার কখনও অন্তত পাঁচটি বলের গতিবেগ থাকছে ১৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা কিংবা তার চেয়েও বেশি। বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলটির গতিবেগ ছিল ১৫৬.৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। দেশের বুকে চলা তেজস এক্সপ্রেসের গতির থেকে একটু কম। দিল্লির ক্যারাবিয়ান ব্যাটসম্যান রোভম্যান পাওয়েল এই ডেলিভারিতে বাউন্ডারি মারলেও স্পিড মিটারে ওঠা বলের গতি দেখে অতি বড় ক্রিকেট বোদ্ধারাও অবাক হয়ে যাচ্ছেন। আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে গতিময় ডেলিভারি এটি। এর আগে ২০২০ আইপিএলের দিল্লির প্রোটিয়া পেসার অ্যানরিখ নর্টজে ঘন্টায় ১৫৬.২২ কিলোমিটার গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরের উমরান তাকেও ছাপিয়ে গেলেন। এই ম্যাচে হয়তো তিনি প্রচুর রান দিয়েছেন, কিন্তু তার একটা ওভারের মধ্যে ১৫২ কিমি প্রতি ঘন্টা, ১৫৪ কিমি, ১৫৩ কিমি গতিবেগ অবাক করেছে তামাম ক্রিকেট বিশ্বকে। তার চারটি ওভারের সবকটি ডেলিভারিকে একসঙ্গে করে যদি গড় করা যায় তাহলে দেখা যাবে উমরানের বোলিং গড় ১৫১ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা, যা ফুল সিগন্যাল পেয়ে চলা দুরন্ত এক্সপ্রেসের গতির থেকেও বেশি। শুধু একটা ম্যাচে নয়, টানা ১০ ম্যাচে এমন গতিতে বল করলেন উমরান। আইপিএলের ইতিহাসে এক নতুন নজির। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই ৫ উইকেট নিয়ে উমরান বলেছিলেন সৃষ্টিকর্তা চাইলে তিনি একদিন ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করবেন। সেই ম্যাচের ঠিক এক ম্যাচ পরেই প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে নিজের কথা তো রাখলেনই, ইতিহাস তৈরি করলেন আইপিএলে। সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটকে নতুন করে ভাবাতে শুরু করলেন।