পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ একসময় জনসংখ্যায় লাগাম টানতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে ছিল চিন। এক সন্তানের বেশি জন্ম নিলে নেমে আসত রাষ্ট্রীয় শাসনের কোপ। আপাতত সেই নীতি থেকে সরে এসেছে জিনপিং এর দেশ। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গুলি তাদের কর্মীদের উৎসাহিত করছে সন্তানের জন্ম দিতে। শুধু মুখের কথায় উৎসাহিত নয় রীতিমতো পুরস্কারের বান ডেকেছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে লোভনীয় অফার দিচ্ছে এক সংস্থা। বেজিং ডাবেনিয়ং টেকনোলজি। এই সংস্থা জানিয়েছে তাঁদের কর্মীরা যদি তৃতীয় সন্তান নেন তাহলে মা পাবেন এক বছরের সবেতন ছুটি এবং বাবা পাবেন ৯ মাসের সবেতন ছুটি। এরসঙ্গে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে ৯০ হাজার ইয়ান। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রথম বা দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও একই ভাবে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে কমবে টাকার অঙ্ক।
১৯৮০ সালে চিনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি শুরু হয়। বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ চিনে চালু হয় এক সন্তান নীতি। রাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণও ছিল। তবে ২০১৬ সালে চিন তাদের এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসেছে। এই মূহুর্তে চিনে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে।
তাই গত ৬ বছর ধরে চিন তাদের নাগরিকদের দুটি এমনকি তিনটি সন্তানেও উৎসাহিত করছে। তবে চিনা নাগরিকরা তাতে তেমন সাড়া দিচ্ছেননা। বাধ্য হয়েই তাই এবার আর্থিক পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে।
২০১৯ সালে চিনে নবজাতকের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার। পরের বছরের জনশুমারি অনুযায়ী, ২০২০ সালে জন্ম নিয়েছে এক কোটি ২০ লাখ শিশু।
আসলে চিনে সন্তান প্রতিপালনের খরচ এতটাই যে অনেক চিনা দম্পতি সন্তান নেওয়ারই পরিকল্পনা করছেন না।