কার্তিক ঘোষ বাঁকুড়া ৫ মে: জঙ্গলের অসুস্থ হনুমান চিকিৎসা করাতে সোজা ডাক্তার বাবুর চেম্বারে চলে এলো। শুধু তাই নয় ইশারা করে দেখিয়ে দিল ঔষধ দাও। শরীরের অসুবিধা কোথায় সেটাও দেখিয়ে দিল। ডাক্তারবাবু পশু চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে ঔষধ দিলেন। ঔষধ নিয়ে টানা প্রায় দু’ঘণ্টা বেডে শুয়ে থাকল হনুমানটি। এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ বাঁকুড়ার সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রামে ডাক্তার অনিমেষ পালের চেম্বারে।
দুপুর বারোটা নাগাদ ডাক্তার পালের চেম্বারে গিয়ে দেখা গেলো মাঝবয়সি হনুমানটি রোগীদের বসার আসনে শুয়ে আছে। ডাক্তারবাবু অন্যান্য রোগীদের দিব্যি চিকিৎসা করছেন। এ বিষয়ে ডাক্তার অনিমেষ পাল জানালেন ,হনুমানটিকে চেম্বারের দিকে আসতে দেখে ভয়ে আমি দরজা বন্ধ করে দিই। এরপর হনুমানটি চেম্বারে পাশেই একটি জলের ট্যাপ খুলে জল খায় তারপর ট্যাপটি যথারীতি বন্ধ করে দেয়।
এখান থেকে এসে হনুমানটি বারবার আমার দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা না খোলায় পাশাপাশি সাইকেল গুলোকে উল্টিয়ে দেয়। এরপর দরজা খুলতেই হনুমানটি রুগীদের ভিড় ঠেলে সরাসরি আমার টেবিলের উপর আমার মুখোমুখি বসে। ঔষধের খাপ নিয়ে আমাকে ইশারা করে দেখায় ঔষুধ দাও। শুধু তাই নয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় চোখে যন্ত্রণা হচ্ছে। খবর পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন রকমের ফল দেয় হনুমানটিকে। কিন্তু কোনো ফল না খেয়ে ফ্যানের নিচে চুপচাপ শুয়ে থাকে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো ডাক্তার পাল চোখে আই ড্রপ দেন। ব্যথানাশক ঔষধ হনুমানটি নিজেই খেয়ে নেয়। এই অবস্থায় সারেঙ্গা রেঞ্জ অফিসের খবর দিলে দুজন ফরেস্ট গার্ড ঘটনাস্থলে আসেন, কিন্তু বিভাগীয় কোন আধিকারীক না আসায় তারা কি করবেন বুঝে উঠতে পারেননি। বেলা একটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে হনুমানটি ডাক্তার বাবুর চেম্বারে পাশে বসে আছে।