পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ৮৮ বছর পর তুরস্কের আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে পবিত্র শবে কদর উদযাপিত হয়েছে। এ বছর শবে কদরে সেখানে ইমামতি করেছেন মিশরের বিখ্যাত কারী শায়খ ড. আহমাদ নেইনা। বুধবার তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘শবে কদর’ উদযাপিত হয়। পবিত্র এ রাতে আয়া সোফিয়ায় নফল ইবাদতে অংশ নিতে হাজার হাজার মুসুল্লি উপস্থিত হন। এশার নামাযের পর শায়খ ড. আহমাদ নেইনা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন। এই তেলাওয়াত অনুষ্ঠান অন্তত ৪০টি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। ড. আহমাদ নেইনাকে ‘মুক্বরিউর রুআসা’ বা রাজাদের কারী বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জামাল নাসেরকে তিনি শৈশবে কুরআন তেলাওয়াত শুনিয়েছেন। তাছাড়া প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আনওয়ার সাদাত ও হোসনি মোবারকের সামনেও একাধিক বার তেলাওয়াত করেছেন তিনি। বুধবার আয়া সোফিয়ার পাশাপাশি তুরস্কের অন্যান্য মসজিদেও শবে কদর উপলক্ষে নানা ধর্মীয় আয়োজন ছিল। তবে শুধু তুরস্কই নয় বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশেও নামায, কুরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর।মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে গুনাহ মাফের প্রার্থনা ও রহমত কামনার মধ্যে দিয়ে রাতটি উদযাপন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শবে কদর উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মসজিদের ইমাম সাহেবগণ শবে কদরের রাত উপলক্ষে বিশেষ বয়ান দেন। শবে কদরের রাতের ফজিলত বর্ণনা করেন তাঁরা। নামায শেষে বিশেষ মোনাজতে বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, লাইলাতুল কদরের রয়েছে অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত। এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মাহে রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে সবে কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে। তবে ২৭শে রমজান আনুষ্ঠানিকভাবে শবে কদর পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এ রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। শবে কদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কুরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল করা হয়।