পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রবীণ ও বিস্তৃত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু পর তাঁর হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব দফতর হাওড়ার নেতা পুলক রায়ের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি বুঝেছিলেন, যাঁর সঙ্গে মানুষের গভীর যোগসূত্র একমাত্র সেই ব্যক্তিই সামলাতে পারবেন পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরী এবং গ্রামোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি। পুলক রায়ের কাজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কারও কোনও অভিযোগ নেই। তিনি যে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছেন, সেই হাওড়ার উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রটিতে বিপুল সংখ্যক মুসলিমের বাস। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগাযোগ বলেই তিনি সকলের প্রিয় মানুষ। রমযান মাস নিয়ে প্রশ্ন করতেই পুলক রায় বলেন, রমযান মাস আসার অনেক আগে থেকেই আমার দফতরকে প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে। কারণ আমাদের মুসলিম ভাই-বোনেরা সারাদিন কঠোর উপবাসে থাকেন, এই তীব্র গরমে তাদের যেন কোনও সমস্যা না হয়। আবার এটা অ্যাপ ও তিতিক্ষার মাস।
ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি পবিত্র রমযান মাসে মুসলিমরা রোযা বা উপবাস রেখে কঠোর কৃচ্ছ্বসাধন করেন। এটা একটা আত্মশুদ্ধি এবং লোভ সম্বরণের চর্চা। ক্ষুধার্ত পেটে অভাবি মানুষের কষ্ট অনুধাবন করা যায়। আমি যতটুকু জেনেছি, রোযা মানে কেবল অনাহারে থেকে পেটের উপবাস নয়, এই রোযা শরীরের সর্বাঙ্গের। খারাপ কথা শুনব না। খারাপ কথা বলব না, খারাপ কিছু দেখব না। একটি পরিশুদ্ধ মন নিয়ে কেবল আল্লাহ তথা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হওয়া। রমযান মাস সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ এনে দেয়। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমাকে রমযান মাসের বিভিন্ন দিনে বহু স্থানে ইফতারে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ থাকে। আমি সুযোগ-সুবিধা মতো উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আচরণে আমাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীই বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমিও এই মন্ত্রে বিশ্বাসী।