পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মোহনবাগান, ইস্টববেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং। তিনটিই তাঁর ঘরের ক্লাব। আর মহামেডান স্পোর্টিং তো এখন তাঁর আত্মার আত্মীয়। তিনি এখন এই ক্লাবের ফুটবল সচিব। বর্তমানে আইলিগের মহামেডান দলের সঙ্গেও তিনি রয়েছেন। মহামেডানে যে কয়েকজন দেশি ও বিদেশি মুসলিম ফুটবলার রয়েছেন তারা নিয়ম করে রোযা রেখেই অনুশীলন সারছেন। আর দলের সঙ্গে থেকে সাদাকালো ব্রিগেডের সেই মুসলিম ফুটবলারদের পবিত্রতার সাক্ষী থাকতে পেরে দারুণ খুশি দীপেন্দু বিশ্বাস। এই মহামেডানেই তিনি দীর্ঘ সময় খেলেছেন। বহু মুসলিম ফুটবলারের সঙ্গে একদা সময় কাটিয়েছেন তিনি।
নিজের ফুটবল কেরিয়ারের প্রথম দিকে তিনি ছিলেন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে। সেখানে তখন তাঁর কোচ ছিলেন মুহাম্মদ হাবিব। হাবিব সাহেব নামেই যাঁকে চেনে ভারতীয় ফুটবল। সেই সময়ের রমযান ও ইফতারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে দীপেন্দু জানালেন, ‘আমি তখন হাবিব স্যারের কোচিংয়ে টিএফএতে রয়েছি। আমার রুমমেট ছিলেন কাসিফ জামালের মতো ফুটবলার।’ সেই কাসিফ জামালের রমযান পালনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে গিয়ে দীপেন্দু জানালেন, ‘কাশিফ তিরিশটি রোযা রাখার চেষ্টা করতেন। আমরা যারা অমুসলিম প্লেয়ার ছিলাম, তারাও একদিন করে কাশিফদের জন্য রোযা রাখতাম। এবং একসঙ্গে আমরা ইফতার করতাম।’
বর্তমান মহামেডান টিমের মুসলিম সদস্যরাও কতটা নিষ্ঠাবান সেটা জানাতে গিয়ে দীপেন্দু বললেন, ‘এখানেও দেখেছি আমাদের মুসলিম প্লেয়াররা মাঠে নামায পড়ে। ওদের নামায হয়ে যাওয়ার পর আমরা প্রার্থনা করি।’ দীপেন্দুর কথায়, ‘এটা একটা অত্যন্ত পবিত্র জিনিস। সারাদিন ছেলেরা কিছু খায় না। জল পর্যন্ত পান করে না, এটাকে উৎসর্গ ছাড়া আর কি বলব?’