পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কারুরই অজানা নয়। ২০২০ সালে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর বিবাদ আরও চরমে ওঠে। এর পর একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু দু-পক্ষে মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি সেই রকম কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
সান ফ্রান্সিসকো থেকে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ভারত যদি কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।
সান ফ্রান্সিস্কোতে ভারত-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতবর্ষ একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের সেরা ৩ দেশের মধ্যে একটি হয়ে উঠতে পেরেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জওয়ানরা কী করেছেন এবং আমরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা কখনই খোলাখুলি আলোচনা করতে পারি না। তবে আমি দেশের মানুষকে আশ্বস্থ করতে পারি যে, ইতিমধ্যেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে যে যদি কেউ ভারতকে আঘাত করতে চায় তাহলে ভারতও তাদের ছেড়ে কথা বলবে না।
সান ফ্রান্সিসকো থেকে আমেরিকা উদ্দেশে রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য, এক দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো রাখা মানে এই নয় যে, অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে হবে। ভারত কখনই এই ধরনের কূটনীতি গ্রহণ করেনি। ভারত কখনই এটি পছন্দ করবে না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জিরো-সাম গেমে বিশ্বাস করি না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ নিলেও ভারতবর্ষ বরাবরই নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। সেই নিয়ে আমেরিকাকে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে এখানে এসেছিলেন। এর পর রাজনাথ সিং হাওয়াই এবং তারপর সান ফ্রান্সিসকোতে যান। বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় কনস্যুলেট দ্বারা তার সম্মানে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিনের সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যদের বীরত্বের কথা উল্লেখ করেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, অতীতে, বিশ্বের যে কোনও দেশ যদি উন্নতি ও সমৃদ্ধি করতে চায় তবে তারা সর্বদা ভারতের সঙ্গে একটি প্রাণবন্ত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার কথা ভাবত। আমরা ২০৪৭ সালে আমাদের ১০০ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার সময় ভারতে অনুরূপ ইকোসিস্টেম তৈরি করার লক্ষ্য রাখা উচিৎ।
রাজনাথ সিং জোরের সঙ্গে বলেন, এই আট বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতের যে পরিবর্তন করেছেন, সেখানে বিশ্বব্যাপি বুঝতে পেরেছে ভারত আর দুর্বল দেশ নয়। আজ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে।