ওবাইদুল্লা লস্কর,মগরাহাট : মগরাহাট জোড়া খুন কান্ডে নয়া মোড়।টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত জানে আলমকে।এসডিপিও ডায়মন্ড হারবার, জানিয়েছেন টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হয়েছে জানে আলম মোল্লা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের মাগুরপুকুর এলাকায় শনিবার জোড়া খুনের পর থমেথমে গোটা এলাকা। ওই দুই যুবকের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পুনরায় যাতে কোন গন্ডগোল না ছড়ায় এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারী। ওই নিহত দুই যুবকের বাড়ি যান জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, মগরাহাটের বিধায়ক নমিতা সাহা।স্থানীয় বাসিন্দারা সাফ জানিয়েছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
উল্লেখ্য মগরাহাটে একসঙ্গে জোড়া খুন। খুনের পদ্ধতি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খুন হন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং তাঁর এক বন্ধু। প্রাথমিক সূত্রের খবর– প্রথমে গুলি চালিয়ে এবং পরে গলা কেটে খুন করা হয়েছে দুই বন্ধুকে। ঘটনায় শনিবার সকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকার আমড়াতলায়। দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি আম-জনতা জ্বালিয়ে দেয় পর পর কয়েকটি দোকান ও গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে মগরাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়– সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও তার বন্ধু মলয় আদক বেশ কিছুদিন আগে ইমারতি সামগ্রী কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানেআলম মোল্লাকে। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে কোনও মালপত্র দিচ্ছিলেন না। এর পর লেনদেন-সংক্রান্ত বিষয়ে গত শুক্রবার জানেআলমের সঙ্গে খানিক বচসা হয় বরুণ চক্রবর্তী ও মলয়ের। এর পর শনিবার বেলা ১০টা নাগাদ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাদের ডাকেন জানেআলম। অভিযোগ– বরুণ ও মলয় আসতেই স্থানীয় দোকানে ঢুকিয়ে তাদের খুন করা হয়। প্রথমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে দু’জনকে খুন করে পিঠটান দেয় জানেআলম। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিrদাদের দাবি– দীর্ঘদিন ধরে জানেআলম মোল্লা এলাকায় ক্ষারের ব্যবসা করত। সেই ক্ষার থেকে দুর্গন্ধ বের হত– যা নিয়ে এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিল বরুণ ও মলয়।