পুবের কলম প্রতিবেদক : রোযা মহান প্রভুর পালনীয় বিধান। রাসূলুল্লাহ্ সা.- এর ফরমান। হিজরি ২য় বর্ষের ফরমান। মুমিনের ইবাদাত। মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত উৎসব। রোযা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা। সওয়াব ও মালিকের নৈকট্য লাভের আশায় বুক বাঁধা। রোযা প্রভু সন্তুষ্টির ভরা বসন্ত। রোযা প্রভুভক্তের নজরানা। নবীপ্রেমের অনন্য চেতনা। তাক্ওয়া ও খোদা-ভীরুতার সোনালি সিঁড়ি, নবীদের আমল।
আল্লাহ্তায়ালা বলেন : ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোযা ফরয করা হয়েছে। যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাক্ওয়া অর্জন করতে পার।’ (সূরা বাকারাহ্, আয়াত ১৮৩) ত্যাগ সংযম আত্মশুদ্ধির সিয়াম সাধনা। সেহরি ইফতার ও তারাবিহ্তে ঐক্যের মোহনা। রহমত মাগফেরাত আর নাজাতে ঘেরা এই মাস। একমুঠো অন্নের অভাবী অসহায় গরিব ও হতদরিদ্রের প্রতি সৃষ্টি হয় ধনীদের অনুশোচনা। জাগ্রত হয় গরিবের প্রতি সহানুভূতির চেতনা। সৃষ্টি হয় এতিমের মাথায় হাত বুলানোর প্রেরণা।
আল্লাহ্তায়ালা বলেন : ‘যে তোমার কাছে সাহায্য চায় তাকে তাড়িয়ে দিও না।’ (সূরা দোহা, আয়াত ১০) । এই মাস বান্দাহ্ দিনাতিপাত করে অনাহারে। সহ্য করে ক্ষুধার যাতনা। কষ্ট সহ্য করে গরিব, করে ধনীও। রোযা যেন মনিবের পূর্ণ দাসত্বের প্রতীক। রোযাদারের ঘর খাবারে পরিপূর্ণ। পেটটা খাবার শূন্য। অথচ সামনে উপস্থিত ইফতারের সামগ্রী। বুকে আল্লাহর ভালোবাসা আর ভয়। তাই মুখে খাবার না তুলে রোযাদার ইফতারের অপেক্ষায় থাকে । এই রোযা আল্লাহর জন্যে। শুধুই আল্লাহর জন্যে। এই ত্যাগ আর কষ্ট মাবুদের সন্তুষ্টির জন্য। এই সংযম আর অনাহার মাওলার দাসত্বের। এই সিয়াম সাধনা প্রভুর সাক্ষাতের। এ রোযার প্রতিদান একমাত্র প্রভুর কাছে। পুরস্কার আল্লাহর হাতে। জান্নাতের বড় নেয়ামত আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ। আল্লাহ পাকের দিদার লাভ করবে শুধুই রোযাদার। রোযাদারের জন্য রোযা হবে প্রভুর সঙ্গে মিলনের সেতুবন্ধন। হাদিসে রাসূল সা. বলেন : ‘রোযাদারের জন্য দুইটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময়। অপরটি প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের।’ (তিরমিযি) । সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেন ,আল্লাহ্তায়ালা বলেন : ‘রোযা আমার সন্তুষ্টির জন্য। এর পুরস্কার আমি নিজে দেব।’ (বুখারী)