মুহাম্মদ রাকিব, উদয়নারায়ণপুর: নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চার যুবক। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া গ্রামীন জেলার উদয়নারায়নপুরের পোঁড়ো থানার নয়াচকে দামোদর নদীতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় নিখোঁজ যুবকরা হলেন সুমন সাপুই(২০),শুভজিৎ মণ্ডল(২২), তন্ময় দাস(২১),স্বর্ণেন্দু পাত্র (২২)।
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই চারজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ এই চারজন যুবক হাওড়ার দাশনগরের শানপুরের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা, বিডিও প্রবীর কুমার শীঠ, থেকে শুরু করে আমতা ও পোড়ো থানার পুলিশ। নিখোঁজ যুবকদের তল্লাশির জন্য ডাকা হয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। তারা তল্লাশি শুরু করে।
যদিও এদিন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহায়তায় বিকাল থেকে নদীতে জাল ফেলে নিখোঁজদের খোঁজ শুরু করা হয়।
জানা গেছে, এই যুবকরা বালিচক গ্রাম পঞ্চায়েতে পশ্চিম খয়রা গ্রামে দিলীপ কোলের বাড়িতে এসেছিল। দিলীপ কোলের এই এলাকার বাসিন্দা হলেও তার দাশনগরে তার একটি লেদ কারখানা রয়েছে।
সেই সূত্রে উদয়নারায়ণপুরে সাহাচকে একটি বারোয়ারি কালীপুজো দেখতে এসেছিল দাশনগরের কয়েকজন যুবক। এই গ্রামের একটি বারোয়ারি কালীপুজো দেখতে নয় জন যুবক বৃহস্পতিবার বিকালে সাহাচকে আসে।
রাতে কালীপুজো দেখার পর শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ খিলা সিনেমা হলের কাছে দামোদর নদীর কাছে বসে মদ্যপান করে ওই যুবকরা বলে অভিযোগ। তাদের সঙ্গে এই এলাকার আরও দুইজন যুবক ছিল। এরপর সকাল ১১ টা নাগাদ নয়াচকের কাছে পাঁচজন যুবক প্রথমে স্নান করতে নদীতে নামে। বাকি ছয়জন যুবক তখন ডাঙায় ছিলেন।
ওই পাঁচজন যুবকের মধ্যে দুইজন যুবক হঠাৎ করে তলিয়ে যেতে শুরু করে । তাকে বাঁচাতে আরও দুইজন যুবক এগিয়ে গেলে তারাও তলিয়ে যায়। বাকি যুবকরা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলের অদূরে ঘাটের কাছে ছিল স্থানীয় লোকজন।
ওই যুবকদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন তারা। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, এই জায়গায় দামোদরের নাবত্যা বেশি। ৩০ থেকে ৩৫ ফুট গভীর দামোদর এই জায়গায়। ওই যুবকরা এটা আঁচ করতে পারেনি বলেই এই দুর্ঘটনা। যদিও এদিন শেষ পাওয়া ওই চারজন যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার খবর চাউর হতে নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।