পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বগটুই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বয়ান রেকর্ড হয়েছে মিহিলাল সেখের। মেরামতি করেই ‘অভিশপ্ত’ বাড়িতেই মেরামতি করে থাকবেন তিনি।
বগটুই কাণ্ডে মিহিলালের সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এই কাণ্ডে মোট মৃতের সংখ্যা ৮। ৬০ শতাংশ শারীরিক ক্ষত নিয়ে মারা গেছেন নাজেমা বিবি। মৃত্যু হয়েছে শেখলাল শেখের মায়েরও। বুধবার সকালেই মিহিলাল এবং খুড়তুতো ভাই বানিরুল শেখ ফিরলেন কুমুরদা গ্রামে। শেখলালের মেয়ের বাড়িতে আপাতত থাকবেন তাঁরা। এই বাড়িতে থেকে তাঁরা নিজেদের পোড়া বাড়ি মেরামতি করবেন। প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তায় স্বস্তিতে তারা। মঙ্গলবারই সিবিআই-এর জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন মিহিলাল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু জানিয়েছিলেন, কথা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনারুলের দুই প্রধান সাগরেদকে হন্যে হয়ে খোঁজ করছে সিবিআই। লালন ও জাহাঙ্গির নামে দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে পড়শি জেলা ও রাজ্যে। সিটের তদন্তে উঠে এসেছে এই দুই জনের নাম। আনারুল তদন্তকারীদের কাছে এই দুজনের নাম করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বগটুই অগ্নিকাণ্ডের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বুলবুলি খাতুন ও নাবালক ইরফান সেখ। তাদের কোলে করে অ্যাম্বুলেন্স করে নামানো হয়। পুলিশ তাদের এসকর্ট করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এম এস ভিপি পলাশ দাস বলেন, ঐকান্তিক চেষ্টা করেও নাজেমা বিবিকে বাঁচাতে পারিনি আমরা, এটাই খারাপ লাগছে। বুলবুলি খাতুন ও ইরফান সেখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। প্রয়োজনীয় শুশ্রূষা সময় দেব। আগেই পিয়ান সেখ নামে এক নাবালক একই ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।