দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: বগটুই অগ্নিকাণ্ডের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বুলবুলি খাতুন ও নাবালক ইরফান সেখ। তাদের কোলে করে অ্যাম্বুলেন্স করে নামানো হয়। পুলিশ তাদের এসকর্ট করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
জানা গেছে, জেলাশাসক বিধান রায়ের নির্দেশে মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস তাঁদের খোঁজ খবর নিতে গ্রামে আসেন। তাদের হাতে তুলে দেন মুড়ির প্যাকেট, পাওডার দুধ, বিস্কুট, কাপড় চোপড় ইত্যাদি সামগ্রী।
পাশাপাশি, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। ইরফান সেখ ও বুলবুলি খাতুনের মা আনোয়ারা বিবি বলেন, ঘটনার দিন আমরা সবাই সেখ লাল সেখের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানেই আগুনে তার ছেলে মেয়ে আহত হন। তারপর শুশ্রূষা থেকে এই ত্রাণ পৌঁছনোর ব্যবস্থা সবই প্রশাসন ভালোই করেছে। বাড়িঘর আমরা সাফ করেছি।
বিদ্যুতের তার ছেঁড়া ছাড়া কিছুই হয়নি। পুলিশ আছে। আমাদের আর কোনও ভয় নেই।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এম এস ভিপি পলাশ দাস বলেন, ঐকান্তিক চেষ্টা করেও নাজেমা বিবিকে বাঁচাতে পারিনি আমরা, এটাই খারাপ লাগছে। বুলবুলি খাতুন ও ইরফান সেখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। প্রয়োজনীয় শুশ্রূষা সময় দেব। আগেই পিয়ান সেখ নামে এক নাবালক একই ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
অন্যদিকে, রামপুরহাট এক ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বগটুই গ্রামে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাঁরা চাইলে রামপুরহাটে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে থাকতে পারেন। কোনও অসুবিধা হবে না।