দেবশ্রী মজুমদারঃ রামপুরহাট অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শুরু করল সিবিআই। তার আগে রবিবার সকালে সিবিআই (ডিআইজি) অখিলেশ সিং সহ সিবিআই অফিসাররা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান তাঁরা। তাঁদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। হাসপাতালের বার্ণ ওয়ার্ডের ভেণ্টিলশনে থাকা লাল সেখের স্ত্রী নাজেমা বিবির শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন। নাজেমা বিবির দেহের নিম্নাংশের ষাট শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁর জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। আতাহারা বিবি, বুলবুলি খাতুন এবং নাবালক ইরফান সেখের জবানবন্দি রেকর্ড করেন অফিসাররা। অন্যদিকে অভিযুক্তদের এ দিন সিবিআই ক্যাম্পে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা করা হয়।
জানা গিয়েছে, আপাতত চারজন রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি আছে। একমাত্র পিয়ান সেখ (১১) সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়ে বনহাট গ্রামে আছে। সুস্থ থাকলেও ইরফান সেখ ছুটি নিতে চায় নি বলে সূত্রের খবর। তবে সোমবার ছুটি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পিয়ান সেখ নাজেমা বিবির ভাইপো। নাজেমা বিবির মেয়ে সাজিনা বিবি বলেন, মা বাঁচবে কিনা সন্দেহ। আমাদের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় নি। শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়েছে। ভাদু সেখ খুনের দিন আনারুল সেখ ও আজাদ সেখের মধ্যে ফোনে যেসব কথা হয়েছিল সেগুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় সিবিআই।