- নিতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা
- মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে স্থায়ী চাকরি ১০ জনকে
- প্রথম বছরে ১০ হাজার টাকা
- গুরুতর অগ্নিদগ্ধকে ১ লক্ষ টাকা
- স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা
- বাড়ি তৈরির জন্য ২ লক্ষ টাকা
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বগটুই গ্রামে এসে স্বজন হারানোদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসহায় পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া ভাদু শেখের পরিবার সহ যাদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে তারা সকলেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী আসার খবরে, এসডিপিও’ আশ্বাসে গ্রামে ফিরে আসে তারা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনা শোনার পর আমি ববিকে ফোন করে বলি, তুই ইমিডিয়েটলি যা। আমি ভাবতে পারিনি, এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রমশ যুগ আধুনিক হচ্ছে আর কিছু মানুষ এখানে এই কাজ করছে। আমি ভাবতে পারিনি, এমন ঘটনা ঘটতে পারে এই যুগে। শুধু কয়েকটি লোকের জন্য এই অশান্তি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটছে তখন ব্লক সভাপতি আনারুলকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ও কোনও দায়িত্ব পালন করেনি। ঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে হয়তো এই ঘটনা আর ঘটত না। যারা জেনেশুনে পুলিশকে কাজে লাগায়নি, আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। আনারুলকে জানানো সত্ত্বেও পুলিশকে পাঠানো হয়নি। আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে ওকে গ্রেফতার করুন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তারা যেখানেই থাকুক তাদের ধরে আনুন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমি মানুষ হিসেবে কথা বলছি, চেয়ার হিসেবে কথা বলছি না।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, জীবনের বিকল্প চাকরি হতে পারে না। তবে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে ১০ জনের স্থায়ী চাকরির ঘোষণা করেন তিনি। সব কিছু নিয়ম মেনেই হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রথম বছর ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে তাদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণে ঘোষণা। নিহতের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় যিনি ভর্তি আছে তাকে ১ লক্ষ টাকা ও স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিন পুলিশ প্রশাসনে উদ্দেশে বলেন, আমি আর কোনও কিছু অভিযোগ শুনতে চাই না। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নিহত ও যাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্তের কারণে তাদের বাড়িতে আধিকারিকরা ঢুকতে চাইলে পুলিশ থাকবে। পুলিশের উদ্দেশে মমতা বলেন, যে পুলিশ কাজ করবে তাকে সালাম, যে কাজ করবে না, তার আর কাজ করার দরকার নেই। সারা বাংলার থেকে দ্রুত বে আইনি অস্ত্র, বোমা উদ্ধারের নির্দেশ।