নুরুল ইসলাম খান: সোমবার ফুরফুরা শরীফে ইসালে সওয়াবের দ্বিতীয় দিনও মুরিদদের ব্যাপক ভিড় ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ দরবারে হাজির হচ্ছেন। সকলেই জমায়েত করেছেন পীর দাদা হুজুরের মাজারে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এই জিয়ারত গাহে সর্বক্ষণ ছিল মানুষের ব্যারিকেড। এদিন প্রধান দরবার শরীফে দোয়া করেন পীর হযরত আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। অন্যদিকে, পীরজাদা হযরত জবিহুললাহ সিদ্দিকী, পীরজাদা জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকী, পীরজাদা শাহিন সিদ্দিকী, পীরজাদা আমের সিদ্দিকী, পীরজাদা মিনহাজ সিদ্দিকী, পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী সিদ্দিকী ও অন্যান্য পীরজাদাগণ নিজ দরবারে উপস্থিত থেকে মেহমানদের খেদমত করেন। পীরজাদা সওবান সিদ্দিকী দরবার থেকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন। তিনি পীর দাদা হুজুরের বাণী-সংক্রান্ত অসিয়ত নামাও স্মরণ করিয়ে দেন শ্রোতাদের।
এদিকে, বড় হুজুরের খানকাহ থেকে বক্তব্য রাখেন পীরজাদা আয়াতুল্লাহ সিদ্দিকী। প্রধান রাস্তা শিয়াখালা থেকে শুরু করে উজল পুকুর, তালতলা হাট-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছিল উৎসবের পরিবেশ। পড়শিরা এগিয়ে এসেছেন দাদা হুজুরের মেহমানদের খেদমতের জন্য। পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকী, পীরজাদা আশেম বিল্লাহ সিদ্দিকী, পীরজাদা মুজাহিদ সিদ্দিকী পীরজাদা, সানাউল্লাহ সিদ্দিকী, পীরজাদা মোসফেকীন সিদ্দিকীরা নিজ নিজ দরবারে ব্যস্ত রয়েছেন অতিথি আপ্যায়নে। ফুরফুরা দরবারের বিভিন্ন জায়গায় বসেছিল ছোট ছোট দোয়ার মজলিস ও ধর্মীয় আলোচনা সভা।
মাদ্রাসা ও শিক্ষাকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর জোর দিয়ে পালন করা হয়েছে অভিনব কর্মসূচি। শির্কের বিরুদ্ধে মাজারে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হচ্ছে। নজর রাখা হয়েছে বিদাত কাজের ক্ষেত্রেও। পীর সাহেবদের সমস্ত দরবার থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বড় জামায়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার জন্য। সকাল-সন্ধ্যায় বিশেষ দোয়া ও জেকের-এ মজলিসে শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
যেহেতু সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ফাইনাল পরীক্ষা। তাই পীর সাহেবরা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। এদিন তামাম বিশ্বের মানুষের কল্যাণের জন্য এবং বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রনেতা আনিস খানের জন্য এদিন দোয়া ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য সরব হয়েছেন। পীরজাদা হোজায়ফা সিদ্দিকী, পীরজাদা হোরায়রা সিদ্দিকী ও পীরজাদা উজায়ের সিদ্দিকী-সহ অসংখ্য পীর পরিবারের সদস্যরা দাদা হুজুরের বহুমুখী কার্যকলাপ নিয়ে আলোকপাত করেন ও মুরিদদের আধ্যাত্মিকতার পাঠদানে ব্যস্ত ছিলেন।