পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে তুমুল হট্টোগোলের জেরে পুরো ভাষণ দিতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সংবিধানের মর্যাদা রেখেই ভাষণের শুরু আর শেষ পড়েই কক্ষ ত্যাগ করেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এইদিনের ঘটনাকে, গণতন্ত্রের পক্ষে অপমান বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল বলেন, এই ঘটনা যেন আর না হয়। এই রকম হবে ভাবিনি। এটা কোনও ছোটখাটো ঘটনা নয়, বড় ব্যাপার। বিধানসভা মার্শালের উচিত ছিল রাজ্যপালকে এদিন রক্ষা করা।’
এদিন বিধানসভার অধিবেশন রীতি অনুযায়ী শুরু হলেও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ফলে বিধানসভা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। ভাষণ না দিয়ে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করতে চান রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ভাষণের প্রথম ও শেষ অংশ পড়ে কক্ষ ত্যাগ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা। এই ধরনের আগেও কোথায় দেখিনি। বিধানসভায় অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটল। রাজ্যপাল আজ ভাষণ না পড়েই চলে যাচ্ছিলেন। তৃণমূল বিধায়করা তাকে বার বার কক্ষ না ত্যাগ করতে অনুরোধ করেন। আসলে বিজেপি গণতন্ত্র মানে না। আমরা রাষ্ট্রপতিকেও সম্মান জানাই। তবে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ। উনি ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, বিজেপি আজ অসভ্য ও অভদ্রতা করল। রাজ্যপাল যাতে ভাষণ না পড়তে পারেন, তার জন্য বিজেপি এই বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজের ওয়ার্ডে জিততে পারেনি বিজেপি, তাই এবার হেরে গিয়ে নাটক করছে বিজেপি।