দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতনঃ রাজ্য-রাজনীতির চরম উত্তেজনার মধ্যে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হল বিশ্বভারতী। সোমবার এই শ্লোগানে শ্লোগানে সোচ্চার হল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের অফিস রুম। একইসঙ্গে ডাক দেওয়া হল উপাচার্যের অধীনে বিশ্বভারতীর “অচলায়তন” ভাঙার। প্রথম বর্ষ ছাড়াও অসংখ্য পড়ুয়া লাগাতার বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সরব হলেন।
শিক্ষার্থীরা এদিন তিনটি দাবিকে সামনে রেখে বলেন, অবিলম্বে হোস্টেল ক্যান্টিন খুলতে হবে, অফলাইন পরীক্ষা বন্ধ করে অনলাইন পরীক্ষা নিতে হবে এবং বিশ্বভারতীর নিজস্ব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের পরীক্ষার তারিখ পিছতে হবে।
আন্দোলনকারী সোমনাথ সৌ বলেন, অনলাইনে আমাদের দাবি মেনে নোটিশ দিন, না, হলে কর্মসচিবকে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘেরাও থাকতে হবে।
কোনও রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই সোমবার প্রথমে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জমায়েত হন। তারপর তার গেটে ক্রমাগত লাথি মারতে থাকলে নিরাপত্তাকর্মীরা তালা খুলে দেয়। সেখান দিয়ে হুড়মুড় করে তারা ঢুকে পড়েন। পাঠভবনের গাছের তলায় ক্লাস বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে সমস্ত ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি হয়। অনেক বিক্ষোভকারী পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন।
এদিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের ঘরে ঢুকে কর্মসচিব আশীষ আগরওয়ালকে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তাঁরা। কর্মসচিব নিজেও পড়ুয়াদের সঙ্গে মাটিতে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
ছাত্র ছাত্রী ঐক্যের সোমনাথ সৌ আন্দোলনকে আরও সর্বাত্বক করতে সামাজিক মাধ্যমে আবেন জানিয়ে বলেন, গ্রন্থন বিভাগের পাশে একটা জায়গায় বেড়া কেটে দেওয়া আছে। সেদিক দিয়ে প্রবেশ করে সেন্ট্রাল অফিসে আসার জন্য। ছাত্রছাত্রী ঐক্যের পক্ষে সোমনাথ সাউ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এই ঘেরাও কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। কোনও ভবনের ক্লাস হবে না। তালাও খোলা হবে না। যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দাবি মানছেন।
এদিকে ২৫ তারিখ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় তরফে জানানো হয়, উপাচার্য এখন এখানে নেই। কবে ফিরবেন সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি।