দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: আরবিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু করার দাবিতে উত্তাল হল বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছাত্র আন্দোলনের রূপ নিল। এই বিক্ষোভে শামিল হলেন বোলপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু স্কুল পড়ুয়া।
এমনকী রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে ডান বাম কোনও ব্যানার ছাড়াই ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে একযোগে বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনের প্রাঙ্গনে আন্দোলনে শামিল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দিলে উপাচার্যের অফিসের সামনেই তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে আগে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত থেকে বিভিন্ন সেমেস্টারের পড়ুয়ারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ঐক্যের সোমনাথ সাউ, বিশ্বভারতী টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য সবাই কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হন। মীনাক্ষী ভট্টাচার্য ও সোমনাথ সাউ বলেন, ‘মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আমাদের এই আন্দোলন। এক অবিলম্বে সমস্ত হোস্টেল খুলতে হবে। হোস্টেল ছাড়া অফ লাইন ক্লাস গরিব পড়ুয়াদের কাছে ব্যয়বহুল। দুই অন লাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। এতে নতুন ছাত্রদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছোতে হবে। মীনাক্ষীদেবী আরও বলেন, আমরা দুদিন দেখব। যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি না করে, তাহলে বিশ্বভারতীর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগেই একাডেমিক কাউন্সিল আরবি ভাষা নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগে পঠন পাঠনের মঞ্জুরি দিয়েছে। কিন্তু আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইসলামিক স্টাডি বিভাগের গাফিলতিতে আরবি ভাষা নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগ চালু হচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নিয়ে কোনও ভেন্টিলেশন নেই। বর্তমানে আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইসলামিক স্টাডি বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র ফার্সিতেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগ চালু আছে।
এই বিভাগের প্রধানের গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে পড়ুয়ারা। এব্যাপারে আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইসলামিক স্টাডি বিভাগের প্রধান ওয়াসিফ আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছি বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।