পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বীর চিলা রায়ের নামে গ্র্যান্ড স্ট্যাচু তৈরি করবে রাজ্য সরকার, আজ বুধবার কোচবিহার থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে হঠাৎ করে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবরের পাওয়া মাত্রই কলকাতায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন তিনি।
এদিন বীর চিলা রায়ের ৫১২ তম জন্মদিনে কোচবিহারের এই বীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। এই মঞ্চ থেকেই বীর চিলা রায়ে গ্র্যান্ড স্ট্যাচু স্থাপনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোচবিহারের বাবুরহাটে বসবে এই স্ট্যাচু। এই ১৫ ফুট উঁচু এই বিশালাকার মূর্তি তৈরি করতে খরচ পড়বে ১৮ লক্ষ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এখানে আরও কিছুক্ষণ সময় কাটানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন, সন্ধ্যাদি প্রয়াত হয়েছেন। আজ ওঁনার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আমি পৌঁছলেই গান স্যালুটের সঙ্গে এই কিংবদন্তী শিল্পীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই মঞ্চ থেকেই বিশিষ্ট সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পীর বাপ্পি লাহিড়ীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এই কোচবিহারে বীর চিলার রায়ের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউন হিসেবে গড়ে তোলা গবে। এর তিনশো কোটি টাকা ব্যয়ে এই কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউনে পরিণত করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আমরা পঞ্চানন বর্মার বাড়ি সংস্কার করেছি। ২৭ একর জমির ওপরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে। বীর চিলা রায়ের নামে তৈরি হবে রাস্তা, কমিউনিটি হল। বীর চিলা রায়ে কথা কোচবিহারের মানুষ জানে। আমি চাই এই বীরের কথা সমস্ত দেশ জানুক। বীর চিলা রায় ছিলেন শৌর্য, বীর্যে, পাণ্ডিত্যে পরিপূর্ণ একজন মানুষ। চিলের মতো ছোঁ মেরে কাজ করতেন। গর্বিত মানুষের জন্য গর্ব করাই আমাদের কাজ।
মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রাজবংশী ভাষার ২০০টি স্কুল তৈরি করা হয়েছে। বীর যোদ্ধার সম্মানে তৈরি হয়েছে নারায়ণী সেনা। স্থানীয় নারায়ণী সেনা চাইলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। কামতাপুরী ভাষার উন্নয়নের জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে।