পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করলেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েসি। মিম প্রধান, ‘আমি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাই না। আমি ‘এ’ ক্যাটাগরির নাগরিক হতে চাই। মিম প্রধান প্রশ্ন তোলেন, যারা এই হামলা চালালো তাদের ওপর দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হল না কেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নানা কারণে মুসলিমদের ওপরে দেশদ্রোহিতা মামলা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম। প্রাণঘাতী হামলা চালানো হল, তাও তাদের দেশদ্রোহিতা মামলা দায়ের হল না।
ওয়েসি বলেন, আমি এই দেশে একজন সাধারণ নাগরিকের মতো বাঁচতে চাই। একজন সাধারণ নাগরিকের এই দেশে যে নিরাপত্তা পাওয়া উচিত, আমিও সেটাই চাই। আমি কোনও জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাই না।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের (এআইএমআইএম) প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে প্রদান করা হয় জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার মিরাটে আসাদউদ্দিনের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালনার ঘটনার পরেই এই সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্র। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ এই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
মিরাটের কিথৌধ এলাকায় তার কনভয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অভিযুক্তদের একজন শচীন, নয়ডার বাসিন্দা, যার বিরুদ্ধে আগে খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেছেন যে তিনি আইনের ডিগ্রিধারী, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।। শচীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে, শচীন নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য হিসেবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অন্য অভিযুক্ত শুভম, সাহারানপুরের একজন কৃষক, যার কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিজের কনভয়ে এই গুলি চালনার ঘটনার কথা নিজেই ট্যুইট করেন ওয়াইসি।তিনি লেখেন “কিছুক্ষণ আগে ছিজারসি টোল গেটে আমার গাড়িতে গুলি চালান হয়। ৪ রাউন্ড গুলি চালান হয়েছে। ৩-৪ জন ছিল। সবাই সেখানেই অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। আমার গাড়ি পাংচার হয়ে যায়। তবে আমি অন্য গাড়িতে চেপে সেখান থেকে বেরোই। আমরা সবাই সুরক্ষিত। আলহামদুলিল্লাহ।”