এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে ধরা সোমবার ধরা পড়ল এক ট্রাক ভর্তি গাঁজা।এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে ,যার পরিমান প্রায় ৮২৪কেজি বলে । পাশপাশি এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত পূর্বস্থলীর দুজন সহ দুজন মণিপুরের বাসিন্দা এবং একজন আসামের বাসিন্দাকে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। রবিবার ভোরে আগাম খবরের ভিত্তিতে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ও এসটিএফ যৌথভাবে শিবতলা এলাকায় মরণ বালা নামে এক ব্যক্তির বিলাসবহুল বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেই মণিপুর থেকে আসা একটি ১২চাকার ট্রাক কে আটক করে পুলিশ। ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ভিতরে গোপন আস্তানা থেকে প্রায় সাড়ে আট কুইন্টাল নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা উদ্ধার হয়।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুর থেকে ট্রাক বোঝাই করে এ রাজ্যে আনা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মরণ বালা ও তার ছেলে শুভ বালা কে গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করেছে। তদন্তকারী পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত মরণ বালাই এই গাঁজার কারবার চালাতো। মণিপুর থেকে এদিন বিপুল পরিমাণ এই গাঁজা ডেলিভারি দিতে এসেছিল দুই ব্যক্তি। এর আগেও একাধিক বার মণিপুরের মাদক পাচারকারীরা গ্রেফতার হয়েছে এই রাজ্যে। জনৈক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পূর্বস্থলীর শিবতলায় মরন বালার একটি একতলা বাড়ি রয়েছে। গোটা বাড়ি সিসি ক্যামেরায় মোড়া। এলাকার মানুষ বাড়িতে ঢুকতে পারে না। এমনকি বাড়িতে কেউ উঁকি ঝুঁকি মারারও সুযোগ পায়না।স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষের সন্দেহ থাকলেও বাড়ির ভিতরে কী কাজ হত, তার টের পেত না কেউ। তিনি জানিয়েছেন, প্রায়ই বড় বড় লরি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতো। তবে লরিতে কী আসে তা বোঝার উপায় ছিল না। তবে গাঁজা কারবারের পর্দা ফাঁস হওয়ার পরই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই গাঁজা কারবারের সঙ্গে কারা যুক্ত তার সন্ধানে ইতিমধ্যেই জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে এই কারবারের সঙ্গে উড়িষ্যার যোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না এসটিএফ। এই চক্রের সঙ্গে ধৃত পাঁচজন ছাড়াও আরো কাদের যোগাযোগ আছে তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা।