পুবের কলম প্রতিবেদকঃ রাজ্য সরকার ১২টি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা চালু করেছে। ওই মাদ্রাসাগুলিতে ১২০টি শূণ্য পদের মধ্যে ৫৭ জনকে নিযুক্ত করেছে পিএসসি। এর মধ্যে ১৯ জন মুসলিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পিএসসি সূত্রে খবর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হবে। এই নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের কাছে রিকিউজিশন চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় যে ৫৭ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, এর মধ্যে ভূগোল বিষয়ে নিয়োগ করা হয়েছে ১২ জন। ইংরেজিতে নিয়োগ হয়েছেন ১২ জন– এর মধ্যে ৪ জন মুসলিম। গণিতে ১২ জন নিয়োগ হয়েছেন– এর মধ্যে ৫ জন মুসলিম। বাংলা বিষয়ে ১ জন নিয়োগ হয়েছেন। একজনই মুসলিম। আরবিতে ১২টি মাদ্রাসায় নিয়োগ হয়েছেন এক জন। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছিল, উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। আরবি বিষয়ে ১২টি পোস্টের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু একজন মাত্র সিলেক্ট হয়েছিলেন বলে দাবি মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের।
এদিকে আরবি বিষয়ে শিক্ষক না পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আগেই। কেন আরবি বিষয়ে শিক্ষক পাওয়া যায়নি– এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান– ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে ছিলেন একজন আরবি বিভাগের অধ্যাপক। ১২ জনের মধ্যে একজন আরবিতে নিজের সম্পর্কে লিখতে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন– বাকিরা উত্তর দিতে পারেননি বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান– যে সব বিষয়ে এখনও নিয়োগ হয়নি– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর নিয়োগ শুরু হবে। বাকি বিষয়গুলিতে নিয়োগের জন্য রিকিউজিশন তালিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেই তালিকা অনুসারেই নিয়োগ হবে। স্বাভাবিক হলে ওই তালিকা পাঠানো হবে। তার পরই ওই মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ করা হবে।
ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলি পুরোপুরি সরকারি। রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের মতো ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বও পিএসসিকে দেওয়া হয়। ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিও যেহেতু সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান, তাই এসসি–এসটি ওবিসি সংরক্ষণ নেই। সাধারণ নিয়মেই নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।
এদিকে হাই মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় নিয়োগে মুসলিম ও অমুসলিমরা নিয়োগ পাচ্ছেন। হাই মাদ্রাসায় ২৩০ জন প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অমুসলিম পেয়েছেন ১৭ জন। বিভিন্ন মুসলিম শিক্ষাব্রতীদের বক্তব্য, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে ইসলাম সম্পর্কে জানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই নিয়ম কতটা মানা হচ্ছে– এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষানুরাগীরা।