নিজস্ব প্রতিনিধি গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পথচলা শুরু হতেই কংগ্রেসের নেতারা সমস্বরে অভিযোগ তুলেছিলেন– বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এবং কংগ্রেসকে হারাতেই গোয়া বিধানসভা ভোটে লড়তে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বৃহস্পতিবার গোয়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই কংগ্রেসের সেই অভিযোগ খারিজ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন– ‘কংগ্রেসকে ভাঙানো কিংবা হারানো লক্ষ্য নয়। গোয়া ও ত্রিপুরায় তৃণমূল লড়ছে– তার কারণ দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকার। কংগ্রেসকে হারাতে চাইলে তো পঞ্জাবে যেতাম’।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভার ভোট। আর সেই ভোটকে ঘিরে ইতিমদ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। গত সোমবারই বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে গোয়ায় এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা সফরপর্বে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেও এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। আর সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন– ‘আসন্ন বিধানসভা ভোটেই গোয়ায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে গোয়ায় নতুন ভোর আসবে’।
পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই সুর চড়ান তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পাঁচ বছর আগে বিধানসভা ভোটের ফলাফল তুলে ধরে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন– ‘হাতেই বসে রয়েছে পদ্ম। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া। এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে বিজেপিকে আর বিজেপি চালাচ্ছে কংগ্রেসকে। ২০১৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে গিয়েছে। কারণ তাঁদের নিজস্ব স্বার্থ ছিল। গোয়ার মানুষের জন্য লড়াই করেননি তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক বিজেপিতে যাবেন না’।
কংগ্রেস গোয়ার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অভিযোগ। সেই সঙ্গে গোয়ায় বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম যে মন্তব্য করেছেন– তার সমালোচনাও করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়– ‘তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস চেয়েছিল– সবাই জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করুক। পি চিদম্বরম বলছেন– তৃণমূল জোটের প্রস্তাবই দেয়নি। অথচ আমাদের সর্বভারতীয় স্তরের নেতা পবন বর্মা ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার সময় চিদম্বরমের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছিলেন। আমি যদি মিথ্যে বলি– আমাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন চিদম্বরম। আদালতে প্রমাণ করে দেব কে ঠিক আর কে ভুল। কে সত্য গোপন করছে– কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে– তা হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে যাবে’।