পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বরে রাজ্য বিধানসভায় সবার সম্মতিক্রমে আফস্পা তুলে নেওয়ার যে রেজলিউশন নেওয়া হয়েছে তা থেকে সরবেন না তাঁরা। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নাগাল্যান্ডে ১৯৫৮ সালের আফস্পার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হবে। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের সায় নেই। এই বিতর্কিত আইনের বলে উপদ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালানো, গ্রেফতার করা ও প্রয়োজনে গুলি চালানোর অধিকার পায় সেনা। সেনারা যদি অপরাধ করে তাহলে তাদের বিচারও হয় না। প্রসঙ্গত, নাগা হিলসে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন রুখতে স্বল্প-মেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে ১৯৫৮ সালে আরোপ করা হয়েছিল আফস্পা। তারপর আর প্রত্যাহার করা হয়নি এই আইন। ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে আফস্পা লাগু হয়ে আছে নাগাল্যান্ডে। এই রাজ্যের পাশাপাশি সম্প্রতি এই আইন আরোপ করা হয়েছে অসম, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশের একাংশ ও জম্মু-কাশ্মীরে। যাইহোক, সেনার হাতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের হত্যা ও বহু মানুষের জখমের ঘটনা ঘটার পর আফস্পা তুলে নেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ২৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাক্ষাৎ করেন নাগাল্যান্ড ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সেই আলাপচারিতায় উপস্থিত ছিলেন নাগাল্যান্ডের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন ও নাগা পিপলস ফ্রন্ট লেজিসলেচার পার্টি নেতা টি আর জিলিয়াং। সেদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আফস্পা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি সুপারিশ করলে আফস্পা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যাইহোক, রিও জানিয়েছেন, ওটিং হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত সমাপ্ত করেছে তদন্তকারী দল এবং চূড়ান্ত ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।