পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গঙ্গাসাগর মেলায় করোনা ত্রাস চিকিৎসকমহলে। সম্প্রতি গঙ্গাসাগর মেলায় পাঠানোর জন্য ১২ জন মেডিক্যাল আধিকারিককে তালিকাভুক্ত করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু দেখা যায় তার মধ্যে ৫ জন মেডিকেল অফিসার ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত মেডিকেল অফিসারদের পরিবর্তে মেলার জন্য বিকল্প চিকিৎসকদের সন্ধান করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
কয়েক দিন আগেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল ১২ জন চিকিৎসককে গঙ্গাসাগরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে কর্মরত মেডিক্যাল অফিসারদের থেকেই বেছে নেওয়া হবে এই ১২ জনকে। সেই মতো তালিকা প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গঙ্গাসাগর মেলায় চিকিৎসক পাঠানো নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। দেখা যায় শেষ তিন দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন মেডিক্যাল অফিসার।
জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সুস্থ অফিসারদের খোঁজ শুরু হয়েছে– যাঁদের গঙ্গাসাগর মেলায় পাঠানো যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে এবারও ইস্নানে জোর দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। নজরদারি চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিনা মাস্কে দেখলেই সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি– চলছে মাইকে প্রচার। কপিল মুনির আশ্রম– মেলা চত্বর মাঝেমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। লকগেট তৈরি করে মন্দির চত্বরে প্রতিবারে ৫০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
গঙ্গাসাগরে নিয়ম কতটা মানা হচ্ছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বুধবার সাগরে যান কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালও পরিদর্শনে যান তিনি এবং সেখানকার যাবতীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের সাগর ব্লক হাসপাতালেরও চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। সন্ধ্যায় কপিল মুনির আশ্রমেও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এদিকে বুধবারই বাবুঘাট প্রাঙ্গণে পুণ্যার্থীদের মধ্যে দেখা যায় চরম উদাসীনতা। থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে দূরত্ববিধি ঘুচেছে অনেক আগেই। অর্ধেকের মুখে মাস্ক নেই।