চেন্নাইঃ বিদ্বেষ–ভাষণ সংক্রান্ত এক মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতিরা রায় দেওয়ার সময় কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকির পক্ষেই কথা বললেন। বিচারপতি জি আর স্বামীনাথনের সিঙ্গল বেঞ্চ এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিতে গিয়ে বলেন, বিদ্বেষ–ভাষণের ক্ষেত্রে কে তা দিচ্ছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ. কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি বা আলেকজাণ্ডার বাবুর শিল্পী হিসেবে অধিকার রয়েছে নানা বিষয়ে কৌতুক করার। শিল্পী কোন ধর্মের এখানে তা বিবেচ্য নয়।কিন্তু একজন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক তা পারেন না।তিনি অন্য ধর্মকে অশ্রদ্ধা করে কিছু বলতে পারেন না।
ফাদার পি জর্জ পুনাইয়া ভীমা–কোঁরেগাঁও মামলায় ধৃত স্ট্যান স্বামীর জেলে মৃত্যুর বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিজের বাড়ির কাছে জমায়েতে ভাষণে হিন্দু ধর্মকে তুলোধনা করেছেন বলে কন্যাকুমারিকার এক পুরোহিত মামলা করেন।আত্মপক্ষ সমর্থনে জর্জ বলেন, তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তিনি মানছেন, তিনি ভুল করেছেন। তাই বিচারপতিও বলেন, ‘অভিযুক্তের যখন ঈশ্বর বোধোদয় করে দিয়েছেন তখন শাস্তির প্রশ্ন নেই। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মুনাওয়ার যা বলতে পারেন, আপনি তা পারেন না’। পুনাইয়া ভাষণে মোদি এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধেও স্ট্যান স্বামীর খুনি বলতে কসুর করেননি। এই রায়ে কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ারের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি তাঁর অধিকারকে স্বীকৃতি দিলেন। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।