ইনামুল হক, বসিরহাট: বিগত পাঁচ বছর ধরে কাঠের সেতু ভেঙে পড়ে থাকলেও তা মেরামত করা হচ্ছে না। যার জেরে তীব্র নাকাল হতে হচ্ছে সীমান্তের মানুষদের।
বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট ও তেঁপুল-মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে যমুনা নদীর উপরে একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল প্রায় তিরিশ বছর আগে।
কিন্তু বিগত ৫ বছর আগে সেই কাঠের সেতু হঠাৎ করে ভেঙ্গে পড়ে। তারপর থেকে তা আর মেরামত করা হয় না। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার কুড়ি হাজার মানুষ। একদিকে চারঘাট পঞ্চায়েত অন্যদিকে সগুনা ও তেঁপুল-মির্জাপুর পঞ্চায়েত।
তিন থেকে চারটি পঞ্চায়েতের ছোট মির্জাপুর, লবনগোলা কপিলেশ্বরপুর অন্যদিকে ভূমিতলা ও চারঘাট বাজার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে যথেষ্টই বিপাকে পড়ছে স্থানীয় মানুষজন।
এছাড়াও স্বরূপনগর থানার একটি ফাঁড়ি রয়েছে চারঘাটে। এছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। পুরো স্বরূপনগর ব্লকটি কৃষি প্রধান ব্লক হওয়ায় এখানকার সব্জি বসিরহাট, বারাসাত-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। আর এই ব্রিজ ভাঙার ফলে বাজার কাছে হলেও তাদেরকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে নিকটবর্তী বাজারে যেতে হচ্ছে। যার জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
নিকটবর্তী চারঘাটে রয়েছে বড় বাজার-সহ একাধিক সরকারি দপ্তর। পাশাপাশি গ্রামের মানুষ এটাও দাবি করেন, নিকটবর্তী শ্মশান রয়েছে ওই চারঘাট এলাকায়। কিন্তু সৎকার করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ নৌকায় পার করা যথেষ্টই সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই ব্রিজের গুরুত্ব অপরিসীম।
ব্রিজ ভাঙার কারণে বর্তমানে এই এলাকার মানুষদের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হচ্ছে। যা যথেষ্টই দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু ব্রীজটি উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের অধীনস্থ। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইচ্ছে থাকলেও কাজ করার উপায় হচ্ছে না।
যদিও চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস জেলা পরিষদ-সহ জেলাশাসক ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত করেছেন বলে জানালেন। সেইসাথে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কবে এই সেতু পুনরায় সংস্কার হয়ে মানুষের চলাচলের যোগ্য হবে, তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ।