পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দেশে বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৯১ শতাংশে পৌঁছেছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি সূত্রে প্রকাশ, এই হার গত ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের অক্টোবর বাদে বাকি ১১ মাসে ভারতের গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি বেকারত্ব ছিল। শহরে কাজ করার ইচ্ছা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও মানুষের কোনো কাজ নেই। এমতাবস্থায় ওমিক্রনের কারণে বিধিনিষেধের মেয়াদ আবার ফিরে এলে দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গ্রামের চেয়ে শহরে বেকারত্ব বেশি সাধারণত মানুষজন মনে করে যে গ্রামে যখন কাজ পাওয়া যায় না, তখন শহরের দিকে যেতে হবে। শহরে চাকরির সুযোগ বেশি, তাই শহরে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র রিপোর্ট তা ভুল প্রমাণ করেছে। ২০২১ সালের, অক্টোবর মাস ব্যতীত, বাকি মাসগুলোতে শহুরে বেকারত্বের হার গ্রামীণ বেকারত্বের হারের চেয়ে বেশি ছিল।
গ্রামীণ বেকারত্বের হার কম হওয়ার দু’টি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমে ভালো আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শহর থেকে গ্রামে আসা লোকজন মাঠে কাজ পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন রাজ্যের সরকারও ‘মনরেগা’ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে।
ডিসেম্বরে বেকারত্ব রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে
দেশে গত ৪ মাসের কথা বললে, সেপ্টেম্বর মাসে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার ছিল ৬.৯ শতাংশ। এরপরে, অক্টোবরে আবারও বেকারত্বের হার বেড়েছে এবং এই সংখ্যা ৭.৮ শতাংশে পৌঁছায়। নভেম্বরে সামগ্রিক বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ৭ শতাংশে। একইসময়ে, ডিসেম্বরে, গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার ৭.৯ শতাংশে দাঁড়ায়। গোটা বছরের কথা বললে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ২০২১ সালের মে মাসে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছিল ১১.৮৪ শতাংশ ছিল। দেশের মধ্যে হরিয়ানা সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের রাজ্য। ডিসেম্বর মাসে হরিয়ানার বেকারত্বের হার ৩৪.১ শতাংশ ছিল। এরপরেই রয়েছে রাজস্থান, সেখানে বেকারত্বের হার ২৭.১ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড তৃতীয় এবং বিহার চতুর্থ স্থানে রয়েছে।