দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: পূর্ণ লক ডাউন হলে সমস্যা সবার। আতঙ্কে বিড়ি শ্রমিকরা। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আংশিক নিয়ন্ত্রণ যে জরুরি তা মেনেও, তাঁরা চাইছেন রাস্তায় গাড়ি চলুক। না হলে খাবেন কি?
মুরারইয়ের বিড়ি শ্রমিক নুর আলম বলেন, হাজার বিড়ি বাঁধলে একজন বিড়ি শ্রমিক সরকারি রেটে ১৭৮ টাকা পাওয়ার কথা। যদিও, কোনো কোনো জায়গাতে ১২০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ণ লক ডাউন হলে, না খেয়ে মরতে হবে বলে জানান মতিয়ার রহমান ও মুসিবর সেখেরা। তাঁরা জানান, একজন বিড়ি শ্রমিক মাসে বড়জোর পনেরো হাজার বিড়ি বাঁধতে পারে। এর উপর সংসার চলে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে তামাক আসে। সেই তামাক শ্রমিকদের দেওয়া হয়। তারপর চলে বিড়ি বাঁধাই। বিড়ি শিল্প মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন মুরারই বিধান সভা এলাকায় মানুষের প্রধান জীবিকা। তাই পূর্ণ লকডাউন হলে গাড়ি চলাচল না করলে বাইরের রাজ্য থেকে তামাক আসবে না। শ্রমিকরা কাজ পাবে না। বিড়িও বাইরে যাবে না। বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এলাকার চার হাজার মহিলা শ্রমিক ছাড়াও বিড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত সাপ্লায়ারও বিপদে পড়ে যাবেন বলে জানান এলাকার বিড়ি শ্রমের সঙ্গে যুক্ত ইউনিয়নের নেতারা। তাই আংশিক নিয়ন্ত্রণ ও মাস্ক পরে করোনা বিধি মেনে চলার পক্ষে রায় তাঁদের। করোনা বিধি না মালে ধরপাকড় হোক। কিন্তু রুজিরুটি যেন বন্ধ না হয়। কারণ বিগত লকডাউনের স্মৃতি ভুলতে পারছেন না তাঁরা।