পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বছরের প্রথম তুষারপাতে ঢাকল দার্জিলিং। আজ, বুধবার এই তুষারপাত তুষারপাত শুরু হয়েছে। শ্বেতশুভ্রচাদরে ঢেকেছে টাইগার হিল। দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, ফালুট, টাইগার হিল, ঘুম, জোড়বাংলো, সুখিয়া পোখারি, আলুবাড়ির মতো জায়গায় প্রবল তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাত হয়েছে সিকিমেও। বড়দিনের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে দার্জিলিংয়ে। বরফ দেখার আনন্দে সকলের মধ্যেই আলাদা রোমাঞ্চ তৈরি হয়েছে। আবহবিদরা আগেই বরফ পড়ার পুর্বাভাস দিয়েছিলেন। সেই মতো বরফ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বেড়াতে আসা সকলেই।
বুধবার ভোরের দিক থেকেই তুষারপাত শুরু হয়। সাদা আস্তরণে ঢেকে যায় জোড়বাংলো, সুখিয়া পোখারি, টাইগার হিল, ঘুমের বিস্তীর্ণ অংশ। বরফ জমে গেছে টয় ট্রেনের লাইনে। ঘুম, টাইগার হিলের মতো এলাকার রাস্তায় তুষারের পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ এলাকা সান্দাকফুতে তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। দার্জিলিং শহরে তাপমাত্রা ঠেকেছে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
দার্জিলিংয়ের মতো বুধবার সকালে সিকিমেও প্রবল তুষারপাত হয়েছে। লাচুঙের বিস্তীর্ণ অংশ বরফের সাদা চাদরে ঢেকে গেছে।
ইতিমধ্যেই দার্জিলিং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, মিরিক ও সিকিমে শীত জাঁকিয়ে বসেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে জলপাইগুড়ি, মালবাজার, ধূপগুড়ি, চালসা, আলিপুদুয়ার, কোচবিহার, মেটেলি এবং লাটাগুড়িতে। ঘন কুয়াশার চাদর মুড়ে নিয়েছে ডুয়ার্সকে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে রোদের প্রায় দেখা নেই বললেই চলে। মেঘলা আকাশ। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় শীতের আমেজ থেকে বঞ্চিত দক্ষিণবঙ্গ। নতুন বছরেও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপ আর ঘূর্ণাবর্তের কারণে এবার শীতের আমেজ ছাড়াই নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।