পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিয়ের বয়সের আগে থেকেই লিভ টুগেদার নিয়ে মামলায় অত্যন্ত চমকপ্রদ এক রায় দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। বিয়ে না হলেও এবং বিয়ের বয়স না হলেও আইনের চোখে নাবালক যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে লিভ টুগেদারে থাকতে পারবে। কেউ আপত্তি তুলতে পারবে না। উলটে আদালত এই যুগলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিল পুলিশকে।
পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের এই যুগল হাইকোর্টে আবেদন জানায়– তারা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু প্রেমিকের বয়স এখনও ২১ পার হয়নি– যেটা বিবাহের জন্য আইনগত উপযুক্ত বয়স। সে কারণে তারা লিভ টুগেদার করছে। কিন্তু অভিভাবকরা এই একসঙ্গে থাকা মেনে নিতে পারেনি। এই যুগল জানায়– তাদের প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গুরুদাসপুর পুলিশ তাদের নিরাপত্তার আবেদনের পর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আদালত জানায়– বিয়ের বয়স না হলেও এই যুবকের স্বাধীন জীবনযাপনের অধিকার সংবিধান সম্মত। আইনগত বিয়ের বয়স হয়নি বলে একজন নাগরিকের সেই মৌলিক অধিকার হরণ করা যায় না। পুলিশ এই যুগলকে সুরক্ষা দিক এবং প্রয়োজনে তাদের অভিভাবক যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
আবেদনকারীর আইনজীবী জানান– এই যুগল নিজেদের বাঁচাবার জন্য পিলার টু পোস্ট ছুটোছুটি করছেন। তাদেরকে হত্যা করা হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছে– বিবাহ বন্ধনের বাইরে লিভ টুগেদার থাকা অবৈধ নয়। তাছাড়া লিভ টুগেদার আইনবিরুদ্ধ কাজ নয়। উল্লেখ্য– ইতিপূর্বে ইলাহাবাদ হাইকোর্টও অভিমত প্রকাশ করেছিল ‘লিভ টুগেদার’ এখন জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে পড়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টও এর বৈধতা স্বীকার করে নিয়েছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানায়– দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক কীভাবে জীবনযাপন করবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে পারে না সমাজ।
উল্লেখ্য– মোদি সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন– এই ধরনের লিভ টুগেদার যুগলের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বিয়ের বয়স আরও বাড়ানো হলে।