পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এক ধাক্কায় কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ন্যূনতম তাপমাত্রা কমল প্রায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রির মতো। চলবে উত্তুরে হাওয়া। উত্তরে হাওয়ায় কোনও বাধা নেই। সেই কারণে আগামী ২৪ ঘন্টায় এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
এদিন ছিল কলকাতা এ মরশুমের শীতলতম। তাপমাত্রা নেমেছে ১১.২ ডিগ্রিতে। এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া– আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। আগামী দিন পাঁচেকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি আকাশ পরিষ্কার থাকার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে এরপর দিন তিনকে তাপমাত্রা ফের ২৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে– আকাশ পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি আবহাওয়াও শুকনো থাকবে।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২২ ও ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন একধাক্কায় কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.১ ডিগ্রি আর এদিন তা কমে হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি নিচে।
পারদ নেমেছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সপ্তাহের প্রথমদিন অফিসযাত্রীরা সকাল সকাল ঠান্ডার কাঁপলেন। তবে ঠান্ডার প্রকোপ কলকাতার থেকে জেলাগুলোতে অনেক বেশি। দক্ষিণ থেকে উত্তরে তাপমাত্রা নেমেছে ১০এর অনেক নীচে। আসানসোলে তাপমাত্রা নামল ৯.৫ ডিগ্রিতে। সৈকত শহর দিঘায় সেখানে ৯.৬। দার্জিলিংয়ে ৩.৫ ডিগ্রি। তবে কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা আজ ৭.৫ ডিগ্রি। অবাক করার বিষয় বীরভূমের শ্রীনিকেতনের পারদ নামল কালিম্পংয়ের চেয়েও নীচে।
সোমবার সকাল থেকেই ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার। বাঁকুড়ায় পারদ নামল ৮.৯ ডিগ্রি– পুরুলিয়ায় আরও কম ৭.৫। বর্ধমান– পানাগড়ে যথাক্রমে ৮.৬ এবং ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কৃষ্ণনগরে অবশ্য ১০ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গের শহর শিলিগুড়িও শীতে কাঁপছে। সোমবার সেখানে পারদ নামল ৮.৬ ডিগ্রিতে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় উত্তুতে হাওয়ার দাপট সকাল থেকেই। আজও শিলিগুড়ি থেকে স্পষ্ট দৃশ্যমান হল ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। যত শীত বাড়ছে– পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। দার্জিলিং ম্যাল এখন শীতবিলাসীদের ভিড়ে ঠাসা।