ভোট করে আর কি হবে! টাকা থাকলেই কেনা যাবে সবকিছু।এমনকি পদও। মধ্যপ্রদেশে গ্রামপ্রধান বা সরপঞ্চের পদ বিক্রি হল ৪৮ লক্ষ টাকায় । বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এমন নজির বোধকরি আর নেই।মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলার ভাটাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে এমন ঘটনা । গ্রামবাসীরা নাকি ভোটের ঝক্কির মধ্যে যেতে চাননি।তারা পদটি নিলামে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বক্তব্য ছিল যিনি সবথেকে বেশি টাকা দেবেন, তিনিই হবেন গ্রাম প্রধান। সৌভাগ্য সিং নামে এক ব্যক্তি ৪৪ লাখ টাকা দিয়ে গ্রামপ্রধানের পদ কিনে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বলে মনে করতে শুরু করেছেন।
এমন ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন এটাই বাকি ছিল। কেউ কেউ বলেছেন, যাদের টাকা আছে রাজনীতিতে আজকাল তাদেরই খাতির। দলনেতা কিংবা নেত্রীরা তাদেরই বেশি গুরুত্ব দেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন কর্পোরেট কিংবা শিল্পপতিরাই তো বকলমে দেশ চালান। এবার বুঝি দেশ চালানোর জন্যও টেন্ডার কল শুরু হয়ে যাবে। যিনি যত টাকা দেবেন তিনি হয়ত তত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পাবেন! কেউ কেউ বলেছেন এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে গণতন্ত্রের ভীত ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে।
এবার কি জনতা নির্বাচন পদ্ধতির উপর আস্থা হারাচ্ছে ? নেতারাও কি গণতন্ত্র সম্পর্কে হতাশ? নাকি শাসক ও শাসিতের মধ্যে সমঝোতাটা আর কোনও রাখঢাক রাখল না? টাকা ঢেলেই যদি ভোটে জিততে হয় তবে ভোটের নামে আর প্রহসন কেন! এমনিতেই এদেশে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যে অশুভ অর্থনৈতিক আঁতাত আছে তা কমবেশি সকলেই জানেন। রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা করা মানুষের সংখ্যা কমছে মারাত্মকভাবে।সামনে সম্ভ্রম প্রদর্শনের হিড়িকের অবশ্য কমতি নেই।