পুবের কলম ডেস্ক : ২০১৮ সালে হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৮ কিলোগ্রাম। ২০২১ সালে ৩ হাজার কিলোগ্রাম। চার বছরে ভারতে হেরোইন পাচার বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রাগ ব্যবসার ট্রানজিট বিন্দু হয়ে উঠেছে ভারত। এমনটাই জানাচ্ছে ডিআরআই ও এনসিবির আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে, অতিমারি-বর্ষে পরিবহণগত নানা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যস্তরেও বিপুল পরিমাণ হেরোইন ধরা পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র ডিআরআই আধিকারিক বলেছেন, গত চার বছরে ব্যাপক মাত্রায় হেরোইনের পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মনে হয়েছে, ভারতকে পাচারের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করছে স্মাগলাররা। যদিও দেশের সমস্ত বন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বন্দর দিয়েই বেশিরভাগ সময় পাচার হয় এই মাদক। তাঁর মতে, আফগানিস্তানে প্রচুর পরিমাণে আফিম চাষ হওয়ার ফলে লাফিয়ে বেড়েছে এই নেশাদ্রব্যের আমদানি-রপ্তানি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ড্রাগ ও ক্রাইম দফতরের এক রিপোর্ট মোতাবেক, আফগানিস্তানের যে খেতগুলিতে আফিম চাষ হয় তা অবৈধভাবে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্টে তালিবানরা এই খেতগুলি অধিগ্রহণ করেছে।
ডিআরআইয়ের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে এই এজেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছিল ৭.৯৮ কিলোগ্রাম হেরোইন। পরের বছর তা বৃদ্ধি পায় ২৫ শতাংশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৯.১৬ কিলোগ্রাম হেরোইন। গত বছর অতিমারিকালে এক ধাক্কায় ২০০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে অর্থাৎ ধরা পড়েছে ২০২ কিলোগ্রাম হেরোইন। সেপ্টেম্বরে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৩ হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল যার মূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা। ডিআরআই কর্তাদের ধারণা, একই আন্তর্জাতিক চক্র এই সমস্ত পাচারের পিছনে রয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী এজেন্সি বা এনআইএ এর তদন্ত করছে।