কৌশিক সালুই, বীরভূম: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষ উদযাপন ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বর্ষের পূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এলেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। কলকাতা ছাড়া আরও ১৯টি দেশে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কলকাতায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে একফাঁকে মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এলেন তাঁর পূর্বপূরুষের কর্মক্ষেত্র বীরভূমে। বাবা মা-বোন ও বোনের জামাই সহ সফরে এসেছেন মন্ত্রী। বীরভূমে পূর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত কর্মক্ষেত্র দেখে নস্ট্যালজিয়া ডুবে যান তিনি। পরিবারের সকলকে নিয়ে সেকেড্ডার পবিত্র ৫ পীর মখদুম বাবার মাজার শরিফে যান বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। সে স্থানের প্রসার ও সৌন্দর্যায়নের জন্য কমিটির সম্পাদক সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রকল্পের সম্ভাব্য নকশা ও বাজেট করে তাদেরকে পাঠাতে বলেন। পরবর্তী সময়ে সেই সংস্কারের আর্থিক সহায়তা পুরোপুরি তাদের পক্ষে থেকে করা হবে বলে ঘোষণা করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব বলেন, ‘পুরনো নথি থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের কর্মক্ষেত্রের জায়গার নাম পেয়েছি সেগুলো দেখতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের দেশের স্বাধীনতা লাভে ভারত তথা বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় আছে এখনও। স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আছে কলকাতায় সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব। পাশাপাশি ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার খুব ভালো উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে এখানে’।
এদিন পূর্বপুরুষদের মাজার শরিফের বিস্তার ও সৌন্দর্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
প্রায় শতাধিক বছরের বেশি সময়ের আগে ফার্সি ভাষায় লেখা নথি উদ্ধার করে পূর্বপুরুষদের কথা জানতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সেই সমস্ত পূর্বসূরীদের মধ্যে ১৭ পুরুষ আগে লখনৌ থেকে বীরভূমের মহম্মদ বাজারের সেকেড্ডা গ্রামে এসেছিলেন। এলাকায় ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য তারা খুব জনপ্রিয় হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে বাংলার গভর্নরের সুনজরে এসে তারা বিনামূল্যে জমি জায়গা পান।