দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: রামপুরহাটে চাইল্ড লাইন ও জিআরপিএফের যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার হল নয় নাবালক। তাদের বহরমপুর কাজী নজরুল ইসলাম বয়েজ হোমে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পাচারের সন্দেহ উঠলেও এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি জিআরপিএফ। তবে উদ্ধার হওয়া শিশুদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত ৮.৪০ নাগাদ চাইল্ড লাইন হেল্প লাইন নম্বর ১০৯৮-এ এক অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন করে জানান, গৌহাটি ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসে নয় জন নাবালককে পাচার করা হচ্ছে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই একযোগে অভিযান চালায়, রামপুরহাটে চাইল্ড লাইন ও জিআরপিএফ। রামপুরহাট চাইল্ড লাইন টিম সদস্য মণিরুল ইসলাম ও রামপুরহাট জিআরপিএফ আইসি আবুল ফজল ব্যাঙ্গালোরগামী ডাউন গৌহাটি ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসের এস ওয়ান কোচ থেকে তাদের উদ্ধার করে।
রামপুরহাট চাইল্ড লাইন টিম সদস্য মণিরুল ইসলাম বলেন, নয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বয়স বারো থেকে চোদ্দোর মধ্যে। কেউ কেউ মাদ্রাসায় পড়েছে। বাড়ির মতেই স্বেচ্ছায় তামিলনাড়ুর চেন্নায় যাচ্ছিল পড়াশোনা ও পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করতে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না। তাদের বাড়ি মালদা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। জনা সাতেকের বাড়ি মালদার কালিয়াচকে। এদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। নাসিবুল মোমিনের মা তাঞ্জিলা বিবি ও অন্যান্য অভিভাবকদের মতো জানান, তারাই স্বেচ্ছায় টিকিট কেটে ছেলেদের পড়াশোনা ও পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজে পাঠাচ্ছিলেন। তারা কেউ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়নি।
জানা গেছে, এই নাবালকরা প্রথমবারের জন্য চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছিল। তবে কোথায় উঠতো বা কাদের মাধ্যমে তাদের যাওয়ার এই ব্যবস্থা সেসব কিছুই বলতে পারেনি। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় গোটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।