দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীতে যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই একাধিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ বহুদিনের। তা নিয়ে তদন্তও হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অজ্ঞাত কারণে মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছেও কর্তৃপক্ষ। যাঁদের পিএইচডি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বা অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি অথচ অন্যায় ভাবে তাদের গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক হতে দেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত হননি তাকে প্রফেসর করা শুধু নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণা করানোর দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হচ্ছে।
সঙ্গীত ভবনের এই প্রহসন আর কতদিন চলবে, বিশ্বভারতীতে উচ্চশিক্ষার এই দিনের অবসান কবে হবে, তা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য নেই কর্তৃপক্ষের।
এই প্রতিবেদককের প্রতিবেদনে প্রথম উদ্ঘাটিত হয় এই করুণ চিত্র। এরপর ন্যাকের মূল্যায়ন, নাকের সামনে তুলে ধরে উচ্চশিক্ষায় কী হাঁড়ির হাল রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয়ের। আর আজ এইসব দেখে থেমে থাকতে পারলেন না অশীতিপর প্রাক্তনী, সকলের প্রিয় চানুদা শ্রী কৃষ্ণপদ সিংহরায়।
প্রতিবাদ পত্র দিলেন শুধু নয়, উপাচার্যকে সরাসরি লিখে দিলেন আগামী পনেরদিনের মধ্যে যদি স্বপন ঘোষকে প্রফেসর পদে থেকে সরানো না হয়, তাহলে তিনি নিজে এই বয়সেও আইনি ব্যবস্থা নেবেন অর্থাৎ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
এবার দেখার এইসব স্তাবকবৃন্দকে রক্ষা করতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকার কি পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন, বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক।